২২ বছর বয়সী ফাহিম ডুচেনে মাসকিউলার ডিসট্রফি (ডিএমডি) রোগে ভুগছিলো। বিরল এ রোগের কারণে তার গোটা শরীর অচল হয়ে যায়। সচল ছিল শুধু মাথা ও ডান হাতের দুটি আঙুল। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে সে। নিজের আয় দিয়ে মাগুরা শহরের মোল্লাপাড়ায় জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করে।
ফাহিমের বাবা রেজাউল করিম একটি বেসরকারি কোম্পানির বিপণন কর্মী। তিনি বলেন, টানাটানির সংসার হলেও ভালোই কাটছিল তাদের দিন। একমাত্র ছেলে ফাহিম ২০১২ সালে জেএসসি পরীক্ষার আগে হঠাৎ শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। দৃঢ় মনোবল, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও মেধা কাজে লাগিয়ে ফাহিম সফল ফ্রিল্যান্সার হন। কাজের দক্ষতার কারণে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ফ্রিল্যান্সার ফাহিম বিশ্বের ৩০ থেকে ৩৫টি দেশের কাজ করতেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে গত চার বছর ধরে ফাহিম মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে আয় করেছেন। তার উপার্জনে পরিবারের সচ্ছলতা ফেরে। বোনের লেখাপড়া চলছিল।
ফাহিমের কাজে খুশি হয়ে তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের পক্ষ থেকে একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছিলাম।