বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বাস পরিবহন ড্রাইভার ও হেলাপরকে দেশীয় অস্র চাপাতি ও লোহার রড দিয়ে গাড়ী ভাংচুর ও মারধর করে ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ও নগত ৩০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই জনের নাম উল্লেখ করে ৪/৫ জনের অজ্ঞাত নামে বাস মালিক মো: মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে। মামলা নং- ৪৬।
মামলার আসামিরা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জে চিটাগাং রোড শিমরাইলের হাফিজ সরদার এর ছেলে মো: রাজু (২৩) ও জালকুড়ি এলাকার আলিম উদ্দিন এর ছেলে সুজন (২৩)।
মামলার বাদী বাস মালিক ভুক্তভোগী মো: মুরাদ হোসেন জানান মামলার প্রধান আসামি মোঃ রাজু বিভিন্ন সময় আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি গালিগালাজ এর কারন জিজ্ঞাসা করিলে আসামি রাজু আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকী প্রদান করে। এঘটনায় ২৯ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করি। যার নং ১৬৬৩। ২৯-০৪-২০২৪ইং।
মামলা সূত্রে, ভুক্তভোগী মুরাদ হোসেন জানায়- চিটাগাং টু নারায়ণগঞ্জ চলাচলরত আমার বন্ধু পরিবহন নামে দুইটি বাস গাড়ী রয়েছে। বাস গাড়ীর রেজি নং- (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৭৫৬) ও (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৭৪৮)। আমার এই বাস দুইটি নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিয় বাস ট্রামিনাল হয়ে চিটাগাং রোড পর্যন্ত কাউন্টার এর মাধ্যমে যাত্রী আনা নেওয়া করে। গত ১৭/০৪/২০২৩ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১৯.০০ ঘটিকার সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কাচপুর ব্রিজের নিচে পশ্চিম পাশে গাড়ি ঘুড়ানোর সময় সন্ত্রাসী রাজু ও সবুজসহ আরও অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বাহীনি একত্রিত হয়ে লোহার রড ও চাপাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার গাড়ী ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৭৫৬ আটক করে আমার গাড়ীতে থাকা ড্রাইভার মোঃ সৈকত ও হেল্পার মোঃ রাসেল এদের নিকট ৫০ হজার টাকা চাঁদা দ্বাবি করে। পিছনে থাকা আমার ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪৭৪৮ গাড়ীটি উক্ত স্থানে পৌঁছালে সেই গাড়ীর ড্রাইভার রিপনকে গাড়ী থামিয়ে জিঞ্জেস করতেই সন্ত্রাসীরা আমার ঐ গাড়ীটিও আটকিয়ে ফেলে। এসময় সন্ত্রাসী রাজু রড দিয়ে আমার বাস দুইটির সামনে গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে এবং সন্ত্রাসী সুজন সহ আরও অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন মিলে আমার গাড়ীতে থাকা ১২ ভোল্ট এর দুইটি ব্যাটারি খুলে নেয় এবং গাড়ীতে থাকা দুইটি এক্সপিয়ার চাকা রিং সহ নিয়ে নেয়।
এসময় আমার ড্রাইভার রিপন, সৈকত এবং হেল্পার রাসলে বাধা দিলে সন্ত্রাসী সুজন ও সবুজসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন সন্ত্রাসী বাহীনিরা লোহার রোড ও লাঠি দিয়ে রিপন, সৈকত ও রাসেল এর শরীরের বিভিন্ন যায়গায় নিলামুলা জখম করে। ড্রাইভার রিপন এর পকেটে থাকা গাড়ীর চাকা কিনার ৩০.৫০০ (ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা সন্ত্রাসী রাজু ছিনিয়ে নেয়।
পরে আমার ড্রাইভার রিপন, সৈকত ও হেল্পার রাসেল এর ডাক চিৎকারে আশে পাশে লোকজন আগিয়া আসিতে দেখে সন্ত্রাসীরা ড্রাইভার রিপনকে বলে চাঁদা না দিলে তর মালিককে যেখানে পাইব প্রাণে মেরে ফেলব বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
পরবর্তীর্তে আমি খবর পেয়ে ঘটনা সর্বস্থলে উপস্থিত হয়ে আমার ড্রাইভার হেল্পারকে লোকজনের সহযোগীতায় উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। আহতদের চিকিৎসা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাস মালিক সমিতির লোকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দ্বায়ের করি।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইয়াউর রহমান জানান, এঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।