রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশে আর্টিফিশিয়াল দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে : শামীম ওসমান

সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে আর্টিফিশিয়াল দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের দেশে আর্টিফিশিয়াল একটা খাদ্য সংকটের চেষ্টা করা হবে। আর্টিফিশিয়াল একটি দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণে সব টাকা এখন ছাড়া হচ্ছে না। যার যত বেশি আছে সে ততো খেতে চায়। কিছু মানুষ আছে তাদের কাছে বাংলাদেশ ভালো লাগেনা, তাদের অন্য জায়গায় সেটাপ আছে। তাই সে কারণে একটু স্লো আগাতে হবে। মেইনলি অর্থ ছাড়টা খাদ্যের উপর এবং তেলের ওপর ফোকাস করছে সরকার বলে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে নারায়ণগঞ্জ জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশে শামীম ওসমান বলেন, আমি আজ এখানে আলোর ঝলকানি দেখলাম। আমার দেশ দঁাড়াবে। আপনাদের মতো শিক্ষক আর এদের মতো অফিসার যতদিন আছে, এ দেশ মাথা তুলে দঁাড়াবেই।
তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ভালো মানুষ হওয়া। আমার চেয়ে বয়সে ছোট এমন অনেকেই আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং শিক্ষক। আমি তাদের স্যার বলে ডাকি। আমি বড় কোন মন্ত্রীকেও স্যার বলে ডাকি না। কিন্তু শিক্ষকদের স্যার বলি।
কারণ তারা মানুষ গড়ার কারিগর। তারা দুনিয়াতে এসেছেন মানুষ গড়ার জন্য। বাবা-মায়ের আদরের সন্তানকে সমাজে গড়ে উঠতে তারা নিরলস পরিশ্রম করেন। যারা মানুষ গড়ার হাতিয়ার, তাদের সম্মান না করলে পৃথিবীর কাউকে সম্মান করে লাভ নেই।
ডক্টর ইউনুসকে ইঙ্গিত করে শামীম ওসমান বলেন, পৃথিবীতে এবং বাংলাদেশের যত লুটপাট, যত ষড়যন্ত্র, দেশ বেচা, গরিব-অশিক্ষিত মানুষ করে না। করে সব শিক্ষিত লোক, লেখাপড়া করে শ্রমিকের টাকা মেরে দেয় পৃথিবীর মধ্যে নামকরা ডক্টরেটরা।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে বিশ বছর আগে আমার দুনিয়ার কোনো কাজ অসাধ্য মনে হতো না। বয়সের সাথে অনেক কিছু চেঞ্জ হয়। এখন হতাশা কাজ করে। একটা মানুষ শেখ হাসিনা কীভাবে একা দেশটা টানবে।
তিনি বলেন, আমার বাবা কোনোদিন চায়নি আমি রাজনীতি করি। আমিও চাইনি রাজনীতি করতে। যুদ্ধের সময় আমরা কাশিপুরের একটি বাসায় ছিলাম। আমি দেখলাম, প্রতিটা মানুষ আমার মাকে সালাম করছে। কারো হাতে দোনলা বন্দুক, কারো হাতে কুড়াল।
সবাই বলছিল, দোয়া করবেন যেন দেশের জন্য জীবন দিতে পারি। আমি বললাম, এরা মরতে চাইছে কেন? মা বলতো, স্বাধীনতার জন্য। আমি বললাম, স্বাধীনতা কী? মা বলল, স্বাধীনতা মানে শেখ মুজিব।
শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে মারেনি ওরা আমাদের যৌবন, কৈশোরকে মেরেছে। আমাদের জাপানের মত একটি দেশ থাকার কথা ছিল। আমাদের মাটিতে সম্পদ আছে। আমাদের পানি, আমাদের মাটির তলে গ্যাস, আমাদের ম্যানপাওয়ার সবটাই ছিল। আমাদের বঙ্গবন্ধু সেই জায়গায় দেশটিকে নিয়ে যাচ্ছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের স্বপ্নগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আবার আল্লাহর কি রহমত শেখ হাসিনা ফিরে আসছে স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উনি স্বপ্ন দেখছেন আপনারা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন। সময়ের সকল শিক্ষককে ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসা দিয়ে তৈরি করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমি ছোট থাকতে যখন বার একাডেমিতে পড়তাম তখন স্কুলের প্রধন শিক্ষক ছিলেন ক্যাপ্টেইন এনায়েত স্যার। উনাকে দেখলে ভয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যেত। একদিন স্কুল শেষে বন্ধুরা মিলে একটা পোস্টার টানাই। পোস্টারে কলম দিয়ে লিখি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাই।
পোস্টার টাঙানোর পর আওয়াজ পাই স্যারের, কে আছে ওখানে। আমি একটু সাহস করে বলি, আমরা আছি স্যার। উনি এসে দেখলেন যে, আমরা পোস্টার টাঙিয়েছি। আমরা তো মার খাব সেই ভাবনায় ছিলাম। কিন্তু স্যার আমাদের একটুও মারলেন না। বরং মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, বাসায় যাও। আমার এই স্মৃতি এখনও মনে আছে।
জেলা প্রশাসক মো, মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার এডমিন আমির খুসরু সহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন