মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ মঙ্গলবার | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে মমতাজ বেগমের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, পরিকল্পিত হত্যা

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

সোনারগাঁয়ে মমতাজ বেগমের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, পরিকল্পিত হত্যা

ফাহাদুল ইসলাম,সোনারগাঁ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের মমতাজ বেগমের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, বলছে মাকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে, মেয়ে মুন্নির এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে এক বছর পর মমতাজ বেগম মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গতকাল রবিবার বিকেলে পিবিআই এসপি আলমামুন শিকদারের নেতৃত্বে একটি দল মমতাজ বেগমের হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদী মুন্নির বক্তব্য শোনেন।

এ সময় মেয়ে জিনাত ফাহিমা মুন্নির পিবিআই কে বলেন, চলতি বছরের গত ১৮ এপ্রিল রাতের কোন এক সময় আমার মা মমতাজ বেগমের মৃতু হয়। আমি তখন শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। পরদিন সকালে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন আমার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ হয়। কারণ হঠাৎ করে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করা এটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়।

আমি গিয়ে দেখি আমার মায়ের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন। মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন, বুকে ও দোনো হাতের উপর অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আমি নিশ্চিত মাকে হত্যা করা হয়েছে। এই সমস্ত আঘাতের চিহ্ন নিশ্চিত করে তাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টিও আমি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানি , আমার পরিবার আমাকে বিষয়টি কেন জানাতে চাইনি আমার সন্দেহ এর সাথে জড়িত আমার নানির বাড়ির লোকজন। তারা আমার মার মৃত্যুকে স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে দাবি করে। বিষয়টি আমার কাছে রহস্যময় হলে আমি পূর্ণ নিশ্চিত হয়ে আমি বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে গত ২৭ এপ্রিল একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। সে অনুযায়ী মৃত্যুর দুই মাস পর কবর থেকে আমার মায়ের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে তদন্তের স্বার্থে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ উত্তোলনে সর্বাত্রক সহযোহিতা করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা আদালতের নির্দেশে মমতাজ বেগমের মৃত্যু সঠিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। লাশের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ফরোনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

মামলার বাদি জিনাত ফাহিমা মুন্নি জানান, সিআইডির মামলার তদন্তের বিষয়ে আমার অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহ হয় তাই আদালতে মামলার বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পরিবর্তনের আবেদন করি। ফলে আদালত পিবিআই কে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন। আমি আমার মার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে চাই। যারা সম্পত্তি ও অর্থের লোভ ে আমার মাকে নৃশংসভাবে রাতের আঁধারে নির্যাতন করে হত্যা করেছে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি প্রার্থনা করছি।

এ বিষয়ে পিবিআই এসপি আলমামুন শিকদার বলেন, মামলার বাদি জিনাত ফাহিমা মুন্নির সকল বক্তব্য শুনেছি ও ঘটনাস্থল তদন্ত করেছি। তাছাড়া বিবাদী ও স্থানীয়দের বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। তদন্ত স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন