বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিএডিসির খাল খনন এলাকার কৃষকের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৭:০৬ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিএডিসির খাল খনন এলাকার কৃষকের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার

আবুল হোসেন সিকদার :
এ যেন মেঘ না চাইতেই জল। বর্তমান সরকার কৃষকের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবলি ইউনিয়নের বাওলাতলা হতে ভূইয়াগাতী ফুলজরা নদী পর্যন্ত সলঙ্গাগাড়াদহ খালটি ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত খাল খননের কাজ শুরু করে যা এখনো চলমান রয়েছে । কাজ শুরু হওয়ায় খালের দুই পাড়ের ৫০০ হেক্টর জমিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। দুই ফসলি জমি ৩ ফসলী জমিতে রূপান্তরিত হবে। এটা ভেবেই খালের দুই পাড়ের কৃষকের মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার
গত ৩০ বছর পূর্বে এই খালটি খনন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন খনন না করার কারণে বর্ষাকালে খালের দুই পাড়ের ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে ডুবে থাকতো। তাইতো খাল খনন দেখে এলাকার কৃষকেরা আনন্দিত।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা যায় প্রায় ৩০ বছর খালটি খনন না করায় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালপাড়ের বিভিন্ন জায়গা দখল করে নেয়। যার ফলে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি খালটি খননের ফলে আমরা দুই পাড়ের হাজার হাজার কৃষক খুশি। দুই ফসলী জমিতে আমরা তিন ফসল ফলাতে পারবো। এলাকার কৃষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন সলঙ্গা গাড়াদহ খালটি খনন করায় একটি কুচক্রী মহল খুশি হতে পারেনি। তাই তারা খাল খননের বিষয়ে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা স্থানীয় কৃষকরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বিএডিসির পানাসি প্রকল্প পরিচালক এবিএম মাহমুদ হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসির অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার এই খালটি খনন কাজ চলমান রয়েছে।৭ কিলোমিটার খালটির খনন কাজ শেষ হলে খালপাড়ের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করতে পারবে স্থানীয় কৃষক এতে করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, ৩০ বছর যাবত খালটি খনন না করার ফলে বর্ষাকালে স্থানীয় কৃষকদের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকতো এবং জলবদ্ধতায় কৃষকের ফসল নষ্ট হতো। খালটি খনন করার ফলে এখন আর জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন