পর্দা উঠলো দেশের সব থেকে বড় ও প্রথম আইসিটি বিষয়ক ইভেন্ট “আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের”। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩ টায় রাজধানীর কেআইবি কমপ্লেক্সে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অলিম্পিয়াডের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এ সময় আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের উদ্বোধনও করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান চিফ গেস্ট হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও আইসিটি ডিভিশনের জাতীয় কনসাল্ট, এজেআই, শাহরিয়ার হাসান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটিতে দেশের ৬৪ জেলার ১৫০০ তরুন-তরুণী অংশ গ্রহন করে।
এদিকে এর আগেই দেশের ৬৪ জেলায় আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের টিম তৈরির মাধ্যমে এই ইভেন্টটির প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর পর জেলা টিমের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষ করার লক্ষে টিম তৈরি করেছে বলে জানায় আইসিটি অলিম্পিয়াড কর্তৃপক্ষ।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গভর্নিং বডির সদস্য মনির হোসেন বলেন, ৩৫ বছর পর্যন্ত এই অলিম্পিয়াডে অংশ গ্রহন করতে পারবে। অর্থাৎ প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৬ টি ক্যাটাগরিতে হবে এই অলিম্পিয়াডটি। দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আইসিটে দক্ষ করে তোলার লক্ষে এই অলিম্পিয়াড।
ক্রিয়েটিভ আইটি ও হুইলসেলের যৌথ উদ্যেগে এই অলিম্পিয়াডে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহন করবে বলে জানিয়ে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-এর গভর্নিং বডির সদস্য আশরাফুল ইনসান ইভান বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত আমাদের টিম রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আলোকিত হবে। দেশের ৬৪ জেলায় আমাদের টিম আছে সেই সাথে উপজেলা জেলা শহরের স্কুল গুলোতে অ্যাম্বাসেডর টিম আছে যাদের মাধ্যমে অফলাইনে যে কেউ এই অলিম্পিয়াডে যুক্ত হতে পারবে। এছাড়াও মেন্টর টিম, বুস্টার টিম, আইসিটি গ্লোরী টিম, সহ কয়েকটি কো-অর্ডিনেটর টিম আছে যে টিম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই অলিম্পিয়াড বাস্তবায়নে কাজ করবে।
গভর্নিং বডির আরেক সদস্য আরবফিন দিপু ঢাকা মেইলকে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ কে এগিয়ে রাখতে, দেশের সকল শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে যা বাংলাদেশের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
আইসিটি খাতে বিশ্বমানের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে থাকে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই অলিম্পিয়াডটির আয়োজন বলে জানান তিনি