রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

এককালিন ৬’লাখ ও মাসে দেড় লাখ টাকা মাসোহারায় সিদ্ধিরগঞ্জে ফুটপাতে চাঁদাবাজির লাইসেন্স পেল রিপন-জামাল

রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ | ১২:০৫ অপরাহ্ণ

এককালিন ৬’লাখ ও মাসে দেড় লাখ টাকা মাসোহারায় সিদ্ধিরগঞ্জে ফুটপাতে চাঁদাবাজির লাইসেন্স পেল রিপন-জামাল

সিদ্ধিরগঞ্জ (০৪’ডিসেম্বর ২০২১ইং শনিবার) সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিন পাশে ফুটপাতে এককালিন ৬’লাখ ও মাসে ১’লাখ ৫০’হাজার টাকা মাসোহারায় দিয়ে চাঁদাবাজির লাইসেন্স পেল রিপন-জামাল। সড়ক দখল করে দোকানপাট বসিয়ে দৈনিক অর্ধলক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজি করলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছেন।
জানা গেছে, শিমরাইল মোড় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে রেন্ট-একার স্ট্যান্ড থেকে হাজী আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেট পর্যন্ত সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে আড়াইশতাধিক ফুটপাত দোকান বসিয়েছে রিপন@মুরগি রিপন ও জামাল। এসব দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করার জন্য ৫/৬’জন বেতনভুক্ত কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ২’শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। চাঁবাজির অভিযোগে র‌্যাব ও থানা পুলিশ রিপন ও জামালকে গ্রেফতার করে। কিছুদিন জেল কেটে জামিনে বের হয়ে তারা আবার চাঁদাবাজি শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানায়, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ গত দেড় মাস আগে সকল ফুটপাত উচ্ছেদ করে দেয়। এর পর রিপন ও জামাল আবার ফুটপাত বসানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ও পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি দোকানদার থেকে ৫’হাজার টাকা করে কমপক্ষে ১৫’লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। গত এক সপ্তাহ ধরে আবার ফুটপাত বসলেও পুলিশ ও সওজ কর্তৃপক্ষ নিরব। ফলে ধারনা করা হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই ফুটপাত বসানো হয়েছে। নির্ভরযোগ
রিপন@মুরগী রিপন ও জামাল বলেন, ফুটপাত বসাতে পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন চারজন বিশেষ পেশার লোক। তারা মাসে দেড় লাখ টাকা মাসোহারা দেওয়ার শর্তে আমাদের কাছ থেকে এককালিন ৬’লাখ টাকা নেয় প্রশাসন ম্যানেজ করার জন্য। ম্যানেজের জন্য ৬’লাখ টাকা দিয়ে কিছু টাকা অন্যান্য দপ্তরে খরচ হয়। তবে রিপন জামাল ওই চারজন বিশেষ পেশার লোকের নাম জানাতে অনিহা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ফুটপাত ব্যবসায়ী জানায়, ফলপট্টি থেকে জামাল ও হাবিব, কাস্সাফ মার্কেটের সামনে থেকে বেল্ট দোকানদার সুমন, বদর উদ্দিন মার্কেটের সামনে থেকে তাজল, চাঁনসুপার মার্কেটের সামনে থেকে ফল দোকানদার নয়ন, আহসান উল্লার সুপার মার্কেটের সামনে থেকে ঘড়ি ফারুক ও কাদের, নেকবর আলী মার্কেটের সামনে থেকে মিরাজ ও মহাসড়কে বসা কাঁচা বাজার থেকে তরকারি দোকানদার সালাম চাঁদা আদায় করছে। দু’ইশ টাকা করে আড়াইশতাধিক দোকন থেকে দৈনিক চাঁদা আদায় করা হচ্ছে অর্ধলক্ষাধিক টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় ১৫’লাখ টাকার উপরে।
এ বিষয়ে রিপন@মুরগী রিপন ও জামালের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের লোকজনের সাথে কথা বলে এ ফুটপাত বসানো হয়েছে।#####




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন