শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করত আজিজ মাদবরের ভাতজিা মাদক ব্যবসায়ী রাকিব

সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতাঃ

রবিবার, ০২ মে ২০২১ | ৮:৫৫ অপরাহ্ণ

স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করত আজিজ মাদবরের ভাতজিা মাদক ব্যবসায়ী রাকিব

সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকায় স্থানীয় হওয়ায় এবং ঐ এলাকায় আত্মীয় স্বজন বেশী হওয়ায় আশেপাশের ভাড়াটিয়াসহ সাধারণ মানুষের উপর প্রায় প্রভাব খাটায় আজিজ মাদবর। সে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকে। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তবে আজিজ মাদবরের প্রভাবে সাধারণ মানুষ কিছু বলতে সাহস পায়না। বেশ কিছুদিন আগে পাগলা বাড়ি বাইতুত তাকওয়া জামে মসজিদের জনপ্রিয় একজন ইমামকে বলাৎকারের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিতাড়িত করেন এই আজিজ মাদবর। ঘটনাটি মিথ্যা উল্লেখ করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। তারা বলছেন, ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অবশ্যই মসজিদ কমিটি ঐ ইমামের বিরুদ্ধে মামলা করতো বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতো। কিন্তু তা না করে মসজিদ কমিটি রহস্যজনক আচরণ করেছেন। প্রসঙ্গত, এ মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে উক্ত ইমাম মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অনেক প্রমাণ মুসল্লিদের কাছে তুলে ধরেছেন বিগত কয়েক বছর যাবত। এতে মসজিদ কমিটি ইমামের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে অসন্তুষ্ট ছিলো। বারবার তাকে মসজিদ থেকে বের করে দিতে চাইলেও মুসল্লিদের কারণে সম্ভব হয়নি। উপরন্তু বলৎকারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে কর্মস্থান (মসজিদ) থেকে রাতের অন্ধকারে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়াদ উত্তীর্ণ মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে একজন সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া পাগলাবাড়ী এলাকার নামধারী আওয়ামী লীগ নেতা ভূমিদস্যু আব্দুল আজীজ মাদবর। জানা যায়, বিগত ১৫ বছর ধরে এই মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন এই ইমাম। ২০১৬ সাল থেকে মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। সেই নির্মাণ কাজের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ রাখছিলেন ঐ ইমাম। ইমামের হিসাব-নিকাশ রাখা মেয়াদ উত্তীর্ণ এই মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্যের পছন্দ হয়নি। আর সেই থেকেই মসজিদের ইমামকে কিভাবে বিদায় করবেন তা ভাবছিলেন তারা। তবে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর জন্য ইমামকে বাদ দিতে পারছিলেন না। কারণ এলাকার মানুষ ও মসজিদের মুসল্লিরা ইমামকে বিশ্বাস করেন। এলাকাবাসীর আশঙ্কা ছিলো ইমামকে বিতাড়িত করলে মসজিদের কাজ বন্ধ হবে এবং সব টাকা আত্মসাৎ করবে মেয়াদ উত্তীর্ণ এই কমিটি। প্রায় একযুগ আগে এই মসজিদ কমিটি তৈরি হলেও তা আর নতুন করে গঠন করা হয়নি। এ কমিটিতে আওয়ামী লীগ ও জামায়েতে ইসলামীর দুই নেতার প্রভাব বেশি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মসজিদের স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লী জানান, আমরা ইমাম সাহেবকে ১৫ বছর ধরে দেখছি, তার পিছনে নামাজ পড়েছি, চলাফেরা করেছি কখনো তো তার মধ্যে এমন আচরণ দেখি নাই। মসজিদের কাজ চলছে কয়েক বছর যাবৎ। সেই কাজের হিসাব-নিকাশ সব ইমাম সাহেব দেখেন। যার কারণে কিছু লোকের স্বার্থে আঘাত লাগে, তাই হয়তো একজন ইমাম সাহেবকে এভাবে মারাত্মক একটি অভিযোগ এনে বিতাড়িত করা হলো। আর যদি ইমাম সাহেবের উপর আনা অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো। মামলা করা দরকার ছিলো। মামলা না করে প্রশাসনের স্মরণাপন্ন না হয়ে এভাবে রাতের অন্ধকারে তাকে বিতাড়িত করা উচিত হয়নি। আমরা এলাকাবাসী এই মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির উপর বিরক্ত। তারা কথায় কথায় বলেন এটা নাকি তাদের পারিবারিক মসজিদ। এখানে যা হবে তাদের ইচ্ছে মতন হবে। এ বিষয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ মাদবর জানান, ইমামদের চাকরি কোনো বান্ধা (স্থায়ী) চাকরি না। তাকে আগে থেকেই সময় দেয়া হয়েছিলো। রাতের আধারে মুসল্লিদের না জানিয়ে হঠাৎ করে ইমামের চাকরি চলে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেই মুসল্লি জানতে চায় তাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েন। সবাইকে সব কিছু জানাতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কমিটির মেয়াদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মসজিদের মুতয়াল্লিকে বলে কমিটি ভেঙ্গে দিয়েছি। মসজিদ আপাতত এডহক (আহবায়ক) কমিটি দিয়ে চলছে।

এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা ভূমিদস্যু আব্দুল আজিজ মাদবরের ভাতিজা রাকিব ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ১ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় এলাকায় ৮৯৬ বোতল ফেনসিডিল ও ১৮ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়। এসময় রাকিবের আরো ৪ সহযোগীও গ্রেফতার হয়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভূমিদস্যু আব্দুল আজিজ মাদবরের ভাতিজা রাকিব সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা করছে। চাচা আজিজ মাদবর আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ায় ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। ##




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন