শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিবিআই’র বিতর্কিত দুই দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকটি অভিযোগ দায়ের

শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১০:১৯ অপরাহ্ণ

পিবিআই’র বিতর্কিত দুই দারোগার বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে কয়েকটি অভিযোগ দায়ের

নারায়ণগঞ্জ পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক শাকিল হোসেন ও মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আসামী গ্রেফতার বানিজ্যসহ একাধিক অভিযোগে পুলিশের মহা পরিদর্শক(আইজিপি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন অ্যাডিশনাল আইজিপি ও দুনর্ীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সোনারগঁা এলাকার দুলাল ও ফরিদপুর জেলার শহিদুল ইসলাম সেলিমসহ আরো একজন।
জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারী ২৩ ইং তারিখ দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকার আলী মাস্টারের ছেলে আতাউর রহমান(৩৮)কে ডাকাতি কাজে ব্যবহিত একটি প্রাইভেটকার দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় গুনধর দু’দারোগা শাকিল হোসেন ও মাজহারুল ইসলাম। আতাউর রহমান রুপগঞ্জ থানার নং২১(২) ২১ ডাকাতি মামলার মূল আসামী।
এছারাও উপ-পরিদর্শক শাকিল ও মাজহারুল ইসলাম ফতুল্লা থানার নং ১(২)২৩ হত্যা মামলার মূল আসামী নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমের ছেলে হাফেজ মাসুদ তার স্ত্রী সন্তানকে পিবিআই অফিসে আটকে রেখে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে আসামীকে পালানোর সাহায্য করা এবং এ হত্যাকান্ডে জরীত অটো চালক রুবেলকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করিলেও জব্দ তালিকা করেন কম টাকায়। নারায়ণগঞ্জ পিবিআই’র অফিসে যোগদানের কয়েক মাস পরে শাকিল ও মাজহারুল ২০২১ সালে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা দিয়ে ৪ টি হায়েচ গাড়ী ক্রয় করেন গাড়ী চোরের হোতা জাকিরের নিকট থেকে। সেই গাড়ী আবার জাকিরের নিকট মাসিক ৬০ হাজার টাকায় ভাড়া দেন দুই পিবিআই কর্মকর্তা। জাকির ঢাকা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে গাড়ী ৪টি উদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেন গুনধর দারোগারা। পরে উপ-পরিদর্শক শাকিলের খুব কাছের বন্ধু এম.আসাদুজ্জামান অভিকে বাদী করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কৌশলে মামলাটি পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক হযরত আলীকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তদন্ত কর্মকর্তা শোন এরেস্ট দেখিয়ে গাড়ী চোরের হোতা জাকিরকে রিমান্ডে এনে তার কাছে পিবিআই কর্মকর্তা শাকিল ও মাজহারুল ইসলামের ক্রয়করা ৪ টি হায়েচ গাড়ী ফেরত চান। গাড়ী দিতে না পারায় জাকিরের কাছে গাড়ীর টাকা ফেরত চান। রাত ৩ টার সময় জাকির ঢাকা নিউমার্কেটের দোকান বিক্রয় করে ৬০ লাখ টাকা তুলে দেয় বিতর্কিত উপ-পরিদর্শক শাকিল ও মাজহারুল ইসলামের হাতে। বাকী টাকার জন্য পেশার দিলে জাকির বলে আমার মুগদার গ্যারেজে ২ টি হায়েচ গাড়ী আছে তা আপনারা নিয়ে আসেন। রাতেই উপ-পরিদর্শক শাকিল ও মাজহারুল ইসলাম মুগদা গিয়ে গাড়ী ২ টি উদ্ধার করে উপ-পরিদর্শক শাকিলের সাহেবপাড়া বাসার পাশে একটি গ্যারেজে রাখেন। পরে গাড়ী ২ টির একটি সিইডির এডিসনাল এসপি’র স্ত্রী কাগজ দেখিয়ে নিয়ে নেন। অপর গাড়ীটি নারায়ণগঞ্জ আদালতে জব্দ দেখায়। আদালত থেকে উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম গাড়ীটি নিয়ে আসেন।
বিতকৃত উপ-পরিদর্শক শাকিল ও মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেহ অভিযোগ করলে অভিযোগকারীদের বাসা থেকে তুলে এনে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিতর্কিত দু’দারোগা রূপগঞ্জ থানা এলাকার কোন জমির মামলা পেলেই বাদী ও বিবাদীর নিকট থেকে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। বিতকৃত উপ-পরিদর্শক শাকিল ও মাজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ৩বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই অফিসে কর্মরত আছেন। তাদের অত্যাচারে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই অফিসের অনেক অফিসারা এখান থেকে বদলী হয়ে অন্যস্থানে চলে যান বলে জানা যায়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পরিদর্শক শাকিল হোসেন বলেন, এনিয়ে তদন্ত চলছে। তাই কথা বলা উচিত হবেনা।
এসব বিষয়ে জানতে উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলামের মোবাইলে একাদিকবার ফোন বাজলেও তিনি তা রিসিভ করেন নি।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআই এর পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম দুটি অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন