শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীর মিরপুরে আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্নপুরীতে’ চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা

সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ১:৫৫ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর মিরপুরে আবাসিক হোটেল ‘স্বপ্নপুরীতে’ চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অবস্থিত স্বপ্নপুরি আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে চলে আসছে অনৈতিক কাজ। প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। আর এই অবৈধ পতিতালয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের­ ছাত্ররা। এতে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কামরুল ইসলাম নান্টুর ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে হোটেলে এই ব্যবসা চলে আসছে।সে বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের কে তার বরিশালের গ্রামের বাড়ি বানারিপাড়ার মসজিদ বাড়ি এলাকা থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত করে। মেয়েদের কে জোর পূর্বক মাদক সেবন করিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খদ্দেরদের রুমে পাঠিয়ে অবৈধ দেহব্যবসার কাজে সুযোগ করে দিচ্ছে। এই সব নারী দিয়ে দেহ বানিজ্য করার অভিযোগে, গত ১৪- মে ২৩ ইং তারিখে বাগদাদ টাওয়ার লিফটের ৯ তলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জন পতিতা ও ৫ জন পুরুষ খদ্দের কে গ্রেফতার করে এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নানটু পালিয়ে যায়। পরে শাহআলি থানায়, আসল নাম,কামরুল ইসলাম পিতা দেলোয়ার অজ্ঞাত দেখিয়ে ভুয়া নাম নানটু দিয়ে,২টি।মানবপাচারের মামলা করে পুলিশ বাদি হয়ে।

অভিযোগ রয়েছে ওই হোটেলের কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক নারী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করতে তারা থাকে ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে আর্থিক লেনদেনের দরকষাকষি। পছন্দ না হলে কেউ ফিরেও আসেন। বাস্তবে এমন চিত্র মেলে সেখানে। একই সাথে বিভিন্নভাবে অঙ্গাভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টাও করছে পতিতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব অবৈধ দেহ ব্যবসায় জড়িতরা ভ্রাম্যমাণ পতিতা। এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অবৈধ ব্যবসা করেন কামরুল ইসলাম নান্টু।

স্বপ্নপুরি আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দেহ ব্যবসা। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উঠতি বয়সী তরুণসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের আনাগোনা রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বপ্নপুরী আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিকপক্ষ বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিয়ে এসে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের নারীর দেখা মিলবে।

আবাসিক হোটেলের নামে এই অবৈধ পতিতালয়ের ব্যবসার বিষয়ে জানতে স্বপ্নপুরী আবাসিক হোটেলের কামরুল ইসলাম নান্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন