শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যাবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

তিতাস গ্যাসের অবৈধ ব্যাবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

নাজমুল হাসানঃ

অবৈধ গ্যাস ব্যাবহার শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করছেন তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

গত দুই বছরের অধিক সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেকর্ড গড়েছেন দেশের শীর্ষ গ্যাস বিতরনকারী প্রতিষ্টান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

তার এই যুগান্তকারী পদক্ষেপ কোম্পানির লোকসানের বোঝা কমিয়ে আনা সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অবৈধ সংযোগ অপসারণের পাশাপাশি অবৈধ পাইপলাইন অপসারণের কারনে নিরবিচ্ছিন্ন বিতরণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হয়েছে।

সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তার এসব সূদুর প্রসারী কর্মকান্ড ইতিবাচক অবদান রাখছে।

দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর দুর্নীতি জগদ্দাল পাথরের মতো চেপে ধরেছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস)।

গ্যাস খেকোদের ঘনিষ্ঠ তিতাস কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।অনিয়ম ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বরখাস্ত, সাময়িক বরখাস্ত, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আর বদলির মাধ্যমে শুদ্ধাভিযান চালান কোম্পানীর মধ্যে।তাছারাও অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জরিমানার মতো শাস্তিমুলক ব্যাবস্থার কারনে পরিস্থিতি বেশ অনূকুলে নিয়ে আসেন।গত এক দশকের মধ্যে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ গ্রহন কারীদের কোনঠাসা করে ফেলেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। তার নির্দেশে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬৬৮ দশমিক ৫০ কিলোমিটার অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অবৈধ লাইন থেকে ৬ লাখ ৩ হাজার ৯৭৫ টি অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩৯৮টি অভিযান পরিচালনা করে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময়ে আবাসিক ছাড়াও অবৈধ ব্যবহারের কারণে ২৫০ টি শিল্প, ৩২৯ টি বাণিজ্যিক, ৫৫ টি ক্যাপটিভ, দশটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব অভিযানে ৬ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয় হয় যার বিপরীতে ৩১২ কোটি ৮১ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল এবং ৯১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয় ।যার মধ্যে ১৪৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল ও ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এবং দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন লাইন কেটে দেয়ার পর আবারও লাইন বসলে সে অঞ্চলের লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।এদিকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্যাস বিক্রয় বাবদ তিতাসের বকেয়া ছয় হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া রয়েছে এক হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া রয়েছে পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই হাজার ৩৮৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এক হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন বকেয়ার পরিমাণ কমে এক হাজার ৬৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বেসরকারি খাতে ৩১ হাজার ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বকেয়া ছিল, এখন পাঁচ হাজার ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রয়েছে।তার এই শুদ্ধাভিযানে বিশেষ অবদান রয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান এবং সাধারন সম্পাদক আয়েজ উদ্দিন সহ অন্যন্য নেতাদের।গ্যাস লুটে জড়িত ভয়ঙ্কর শক্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাজটা খুব কষ্টসাধ্য। তিতাস গ্যাসের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশিদ মোল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর যোগদানের পর পরই তিতাসের সৎ এবং নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে টিম ওয়ার্ক করে কঠোর হাতে দমন করেন এসব অনিয়ম দুর্নীতি।জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ নিজের চাকরি জীবনে সফলতার স্বীকৃতি স্বরুপ সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের মন জয় করে টানা তিনবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন