বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিকে মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

সাংবাদিকে মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক দেশ বাংলার প্রতিনিধি মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী মানু সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে সাভার আশুলিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
আশুলিয়া এলাকায় বুধবার(১৪সেপ্টেম্বর)সকালে ঢাকা পুরাতন ইপিজেড সংলগ্ন আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাব প্রাঙ্গনে সাভার ও আশুলিয়ার কর্মরত সংবাদকর্মীদের অংশ গ্রহনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সাথে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা একা গ্রতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন উপস্থিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে, আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি শাহ আলম বলেন, নুর আলম সিদ্দিকী মানু আমার ক্লাবের সাধারন সম্পাদক। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের মত যায়গায় দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে এভাবে নির্যাতন করায় আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এবং অবিলম্বে লিটন,মেহেদী মিঠু, মামুন মোল্লা ও সাকিল শেখদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি দাবি করছি। উল্লেখ্য গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার সময় আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের হলরুমে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ও আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ মুন্সির ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ।
আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নুর আলম সিদ্দিক মানু।মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা বলেন,সাংবাদিকদের আশ্রয়স্থল হলো প্রত্যেক এলাকার স্থানীয় প্রেসক্লাব,কিন্তু সেই পবিত্র স্থানেই সাংবাদিকদ্বারা সাংবাদিকের উপর হামলা ও লাঞ্ছনা দুঃখজনক ও লজ্জাকর। এ হামলায় অংশগ্রহণকারী সকল কে আইনের আওতায় এনে আশুলিয়া সাংবাদিক সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।
আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি,মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকি মানু,তৃণমূল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ ইয়াসিন,দৈনিক দেশবাংলা পত্রিকার আশুলিয়া প্রতিনিধি হাসান ভূইয়া,দৈনিক দেশবাংলার আবাসিক সম্পাদক,পারভেজ মুন্না,আশুলিয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক নয়াশতাব্দীর সাভার প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, দেশবাংলা’র স্টাফ রিপোর্টার ইউসুফ আলী,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের আশুলিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিফাত মাহমুদ ফাহিম, কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিমান্ত,স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কবীর সাইফুদ্দিন আফাজ প্রমুখ।মানববন্ধনে উপস্তিত হয়ে দেশবাংলা’র আবাসিক সম্পাদক পারভেজ মুন্না বলেন, আশুলিয়ার মত যায়গায় একটা মাদার সংগঠনে দাওয়াত দিয়ে আমার দেশবাংলার প্রতিনিধির উপর লিটন গংরা যে হামলা চালিয়েছে দেশবাংলা পরিবার এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ভুক্তভোগী নুর আলম সিদ্দিকী মানু বলেন,আমি ওখানে একজন দাওয়াতি মেহমান ছিলাম।সেচ্ছাসেবক লীগ আশুলিয়া থানার সভাপতি ও আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি বাই আমাকে ফোন করে বলে মানু আশুলিয়া প্রেসক্লাবে আমার সাংবাদিক সম্মেলন আছে আপনে আইসেন।
আমি নিউজ কভারেজ শেষ করে যখন খাবার খাচ্ছিলাম। তখন হটাৎ করে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লিটন তার দলবল নিয়ে ক্লাবে ঢুকে মাইক হাতে নিয়ে বলে ঐ সাকিল দরজা বন্ধ করে দে। একজন লোক যেন এই ক্লাব থেকে বের হতে না পারে, পুলিশ ভাইয়েরা, ডিজিএফআই, ডিবি,ডিএসবি সহ গোয়েন্দা সংস্থার ভাইয়েরাও বের হবেননা, এই খানে নুর আলম সিদ্দিকী মানু কে তুই স্টেজে আয়।এই কথা বলতেই তার অনুসারী মেহেদী মিঠু, মামুন মোল্লা ও সাকিল শেখ সবার সামনে আমাকে মারতে মারতে কেবিনেট রুমে নিয়ে আটকিয়ে আমার উপর নির্যাতন করে এবং বলে আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজের চাঁদাবাজীর টাকা না পাওয়া গরুর মাংস কুকুরের মাংস বলে বিরিয়ানি হাউজ এর মালিককে পুলিশের দেওয়ার ঘটনার প্রতিবেদন করছো কেনো বলে হামলা চালায়।এসময় লিটন গংদের কার্যকালাপে উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে যায় এবং সবাই স্থান ত্যাগ করে।ঘটনার পরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে ওসি তদন্ত জিয়াউল হক মামলা না নিয়ে জিডি করতে বললে তার কথা মতো জিডি করা হয়।
জিডি করার আদা ঘন্টা পর দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার ভুক্তভোগী মানু’কে তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জিডি নাম্বার ভুল হয়েছে বলে ডাকেন এবং পর পর কয়েকবার কল দিয়ে ডেকে নিয়ে ওসি তদন্তের রুমে সেই হামলা কারীদের সামনে জিডি কপি নিয়ে রেখে দিয়ে প্রায় ৪০মিনিট ওসি তদন্তের রুমে আটক রেখে জোর জবরদস্তি করা হয় সমঝোতা করতে।জিডি যার নং ১১৪৯ তাং ১১/০৯/২২ ইং এর পর থেকে জিডি তুলে নেওয়ার জন্য ঘটনার সাথে জড়িত মেহেদী হাসান মিঠু,শাকিল, জহিরুল ইসলাম লিটন ও মামুন মোল্লা তাকে জিডি তুলে নেওয়ার জন্য নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন