নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা এবং তার স্বেচ্ছাসেবক সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এই হামলা করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ ৮ নম্বর কিছু নাম ধারী ছাত্রলীগ নেতা। এমনটাই অভিযোগ করেন কাউন্সিলর দিনা।
১৫ জুন সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকায় অবস্থিত কাউন্সিলর দিনার কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর দিনা।
কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাঁতখানা বৌ-বাজার এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের নাম ধারী কিছু ছেলে আমার উপর হামলা করে। একই সাথে আমার অফিসে ভাংচুর করে। এঘটনায় রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
দিনা আরো বলেন, আমার খালা রাশেদা বেগম তার মেয়েকে সিদ্ধিরগঞ্জ বার্মা স্ট্যান্ডে বাসিন্দা শওকতের কাছে বিয়ে দেয়। রাশেদা বেগম তাদের বাড়ি ভাড়া দিয়ে, মেয়ের জামাইর বাড়িতে তারা থাকেন। লকডাউনের পর আমার খালার বাড়ির এক ভাড়া টিয়া ৩ মাস যাবৎ বাড়ি ভাড়া দিতে পারে না। ভড়া টিয়াদের ঘরে ঠিকমত খাবার নেই। আর এই মুহুর্তে আমার খালাতো ভাই রুবেল নামধারী ছাত্রলীগের কিছু ছেলে পেলে নিয়ে ওই ভাড়া টিয়া মহিলাকে হুমকি দমকি দেয়। তখন আমার মামা এই মহিলার ৩ মাসের ভাড়া মওকুফ করে ভাড়া টিয়াদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। তারা তা মেনে নেন। আমি খালাতো ভাই রুবেলকে বলি মামা খারলার সাথে কথা বলে ভাড়াঠিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে আগামি মাসে বাসা ভাড়া ছেরে দিতে বলেছে। তুমি তাদের কোন সমস্যা করবে না।
তিনি বলেন, আমার খালাদের সাথে কোন দন্ধ থাকলে তা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা পারিবারিক ভাবে বসে তা মিট করবো। এখানে ছাত্রলীগের কোন কিছু না। রাত ১১ টার পর থেকে আমি মধ্যবর্তি পরিবারে খাবার দেই। কেননা তারা কারো কাছে চাইতে পারে না। আমি রাত সাড়ে ১০ টায় খাবার বিতরনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মাঝে আমার খালা এসে আমাকে গালি গালাজ করে। এক পর্যায় তার সাথে আমার তর্ক হয়। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের তামিম, আরিফ, রাকিব, অনিক সহ ২০ থেকে ২৫ জন ছেলে আমাদের উপর হামলা করে।
তারা যাওয়ার সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলে যায়, তারা আমার স্বপরিবারে গুম করে ফেলবে। আমার জনসেবা বন্ধ করে দিবে। যে বাড়িতে আমার অফিস তাদেরকে হুমকি দিয়ে গেছে। আমার গোডাউন ভাংচুর করবে বলে হুমকি দেয়। আমি এমপি শামীম ওসমানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফোন দেই। তিনি রাতে টকশোতে থাকার কারনে আমার ফোন ধরতে পারেনি। তামিম এবং আরিফের নেতৃত্বে আমাকে হত্যা করবে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডার হয়েছে। ওই খানে ২ জন জন প্রতিনিধি হত্যা হয়। আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। আমি এমপি শামিম ওসমান এবং প্রশাস সহ নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।
ওরা কেন আমার উপর হামলা করলো আমি তার বিচার চাই। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান দিনাকে বলেন, তুমি যার মাধ্যমে যেই ভাবে বিচার চাও ওই ভাবে সঠিক বিচার করে দেয়া হবে। তখন এই সংসদ সদস্যের উত্তরে দিনা বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান এবং গোদনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শাহ আলম ভাইয়ের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই। কিন্ত সঠিক বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, কাউন্সিলর দিনার উপর হামলার ঘটনায় রাত ২টার দিকে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।