শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল খানসামায়

শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬:০০ অপরাহ্ণ

গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল খানসামায়

আর,এম রাকিব : প্রকৃতির আপন মহিমায় বসন্তের আগমন ঘটতে আর মাত্র ক-দিন। ফাগুনের আগুন রাঙারুপে সাজবে প্রকৃতি। ফুলে-ফুলে সুবাসিত হবে চারদিক। মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পরবে। রসালো ফল আম। কাঁচা অথবা পাকা তা কার না পছন্দ। আম তো পরে’ আগে আমের মুকুল।

শীতকাল প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে বসন্তের আবাস। গাছের ডালে হিমেল হাওয়ায় দুলছে আমের মুকুল। পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তবে রূপ নিতে বাকি রয়েছে মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় দেখা মিলে গাছে গাছে ফুটে আছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। এমন একটি দৃশ্যের দেখা মিলেছে উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের সহজপুর গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বাবুল এর বাড়ীর উঠানের একটি আম গাছে। দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে। দুরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর। তাছাড়া বর্তমানে আম বাংলাদেশের প্রধান চাষযোগ্য অর্থকরী ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সরজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখায়ায়, বাগানে,অনেক বাড়ির আঙিনায়, উঠানে, পুকুর ধারে আম গাছে মুকুল ধরেছে।

আম গাছের কয়েকজন মালিক জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে তাদের মনটা বেশ ভালো লাগছে। তারা আমের মুকুল ধরে রাখতে নানা প্রকার পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।সরজমিনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখায়ায়, বাগানে,অনেক বাড়ির আঙিনায়, উঠানে, পুকুর ধারে আম গাছে মুকুল ধরেছে।

আম গাছের কয়েকজন মালিক জানান, আগাম মুকুল দেখার পর থেকে তাদের মনটা বেশ ভালো লাগছে। তারা আমের মুকুল ধরে রাখতে নানা প্রকার পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, আমার বেশ কয়েকটি গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। রোগবালাইর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগাম মুকুল বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। আর সেই গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় বলেন, এখন যেহেতু মুকুল আশা শুরু হয়েছে এখন আর কোন কিছু করা যাবে না। মুকুল আসার আগেই একটি ছত্রাক নাশক এবং একটি কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি- ৭.২১ হেক্টর,ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নে – ৮.০৩ হেক্টর,আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নে – ১.৭৮ হেক্টর,খামারপাড়া ইউনিয়নে – ৮.২২ হেক্টর,ভাবকী ইউনিয়নে- ২.৫৫ হেক্টর ও গোয়ালডিহি ইউনিয়নে -১.২৩ হেক্টর জমিতে আম চাষাবাদ হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি। আমের ফলন বেশি বেশি পেতে হলে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে বলেও জানান তিনি।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন