বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১:১২ পূর্বাহ্ণ

দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্টোরেল ডিপো ও এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর-৪ এ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেছেন।

এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমটিসিএল) এম এ এন সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ৩১ দশমিক ২৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে এবং ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী এমআরটি লাইন-১-এর দুটি অংশ থাকবে। একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুন বাজার থেকে প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)।

এতে সাতটি স্টেশন থাকবে। অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার এবং নদ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে রূপগঞ্জের পূর্বাচলে সেক্টর-৪ এ তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেইসঙ্গে মঞ্চের চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, পুরো এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। আমরা এসএসএফের সঙ্গ সমন্বয় করেছি।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন