রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবশেষে দুর্নীতি মামলায় কাউন্সিলর মতি কারাগারে

বুধবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩:০২ অপরাহ্ণ

অবশেষে দুর্নীতি মামলায় কাউন্সিলর মতি কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টারঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ মতিউর রহমান মতিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
সোমবার (৬) সকালে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো: আছাদুজ্জামানের আদালত শুনানী শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেররণর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ নারায়ণগঞ্জ এর উপ-পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী।
আদালত সূত্র জানায়, কাউন্সিলর মতি মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকায় জামিনের জন্য আবেদন করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোঃ আছাদুজ্জামান কাউন্সিলর মতির আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। ইতোপূর্বে আদালত কাউন্সিলর মতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
জানা যায়, ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো: ইব্রাহীম আদালতে মতি ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত সূত্র জানায়, তদন্তকালে আসামি মতিউর রহমানের মতির নামে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের নামে ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পায় দুদক।
এর আগে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মতিউর রহমান ৬ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রোকেয়া রহমান ২ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব প্রদর্শন না করে মিথ্যা তথ্য দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলায় কাউন্সিলর মতিউর রহমানের মতির বিরুদ্ধে ৬ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ৬৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ৪২৪ টাকা জমা করে পরবর্তীতে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৯ টাকা উত্তোলন করে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে অবস্থান গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর মামলার এজাহারে কাউন্সিলর মতির স্ত্রী রোকেয়া রহমানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬১ লাখ ১৮ হাজার ৩৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৭ হাজার ৩৯৫ টাকা জমা করে সেখান থেকে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৮ টাকা উত্তোলন করে তা স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরপূর্বক অবস্থান গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন