শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে রাস্তায় বাসস্ট্যান্ড রাস্তায় পার্কিং

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩ | ১১:৩১ অপরাহ্ণ

সোনারগাঁয়ে রাস্তায় বাসস্ট্যান্ড রাস্তায় পার্কিং

ফাহাদুল ইসলাম সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ

সোনারগাঁ থানা রোড ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রোড মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় কোম্পানির নিজস্ব পরিবহন ও মালিকানা মিনি বাসগুলো রাতেও যানজটের সৃষ্টি করে।

সোনারগাঁওয়ে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা নেই। নানা অব্যবস্থাপনায় দিনের বেলা মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চলাচলে ভোগান্তি তো আছেই, রাতের বেলায়ও এর কমতি নেই। সন্ধ্যা ৬ টার পরও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থানা রোড ও কলেজ রোডে যানজটের কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানযটের কারণে অপেক্ষা করতে হয় তাদের।

পারাপার পরিবহন এবং থ্রি হুইলার সিএনজি ও অটোরিকশা রাস্তার ওপর যত্রতত্র পার্কিং করার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সোনারগাঁবাসী কে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় রাস্তার ওপরে পারাপার পরিবহন ও নাফ পরিবহনের যত্র তত্র পার্কিংয়ের কারণে ও টিকিট বিক্রির ফলে এ মহা যানজট সৃষ্টি হয় অভিযোগ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এসব কাউন্টারের সামনে সকাল হলেই লম্বা শাড়ি দিয়ে সিরিয়াল দিতে থাকে। পুরোপুরি রাস্তা দখল করে নিয়েছে পারাপার পরিবহন ও নাফ পরিবহন । অতিষ্ঠ হলেও এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করতে পারে না স্থানীয় প্রভাবশালীর দাপটের কারণে। প্রতিবাদ করলেই বলে এটা কার পরিবহন জানো এটা অমুকের পরিবহন অমুকে এখান থেকে মাসে মোটা অংকের টাকা পায় তার অধীনে এ পরিবহনগুলো চলাচল করে। হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ কে মাসে খরচ দিয়েই এ পরিবহন চলাচল করে। গাড়ি তো রোডের উপরেই থাকবে আপনাদের কিছু বলার থাকলে কোম্পানি লোকের সাথে কথা বলেন।

তাদের এই বেপরোয়া ভাবে বাস স্টপেজ এর কারণে সোনারগাঁ বাসি অতিষ্ঠ। প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সড়কের ওপরই দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠায়। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট।

মোগরা পাড়া চৌরাস্তা, থানা রোড, মেঘনা রোড, সোনারগাঁ ডিগ্রী কলেজ রোড থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে রাতেও যানজটের কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের।

সড়কে অবৈধ বাসস্ট্যান্ডের কারণে রাতের বেলা চলাচলকারী নাগরিকদের রাস্তায় আটকে থাকতে হয়। পরিবহনগুলো নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়ি ছাড়ার ব্যবস্থা করা গেলে মোগরাপাড়া যানজট অনেকটাই কমে যেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে পরিবহন মালিকরা বলছেন, বাস রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা না থাকার কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাদের রাস্তার ওপর বাস রাখতে হয় । নির্ধারিত জায়গা বা টার্মিনাল পেলে তারা অবশ্যই রাস্তা থেকে বাস সরিয়ে নেবেন। রাস্তায় বাস রাখলে যেমন যানজট সৃষ্টি হয়, তেমনি তাদের বাসেরও ক্ষতি হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস থেকে চৌরাস্তা কাঁচাবাজার পর্যন্ত ও মেঘনা রোডে মহাসড়কে পাশ থেকে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ বাসের সারি। রাস্তার ওপরে কয়েকটি পরিবহনের টিকিট কাউন্টার আছে। এখানে পরিবহনগুলো এসে থামে এবং যাত্রী ওঠায়। দিনভর এ পরিবহনের অসহ্য যন্ত্রণা বিরক্তি পোহালেও সন্ধ্যা বেলাতে ও যানজট লেগে থাকে।

রোডের ওপরে বাস দাঁড় করিয়ে নিয়মিত যাত্রী তোলা হয়। সোনারগাঁ মোগরাপাড়া টু মেঘনা গজারিয়া পরিবহন পারাপার বাস অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয় প্রায় সব সময়ই।

কাগজপত্রে ঢাকাসহ দেশের সকল বাস কোম্পানির নিজস্ব পার্কিং জোনের কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তার মিল নেই।

সোনারগাঁওয়ে রাস্তায় চলাচল করা পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশের নির্দিষ্ট পার্কিংস্থল নেই। এসব বাসের নিবন্ধন আদৌ দিয়েছে কিনা সন্দেহ। ব্যক্তিগত মালিকানায় এসব বাস পরিচালিত হচ্ছে।

জানা যায়, মোগরাপাড়ায় নিয়মিত ও অনিয়মিত রুট সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গেছে। এসব রুটে কয়েক হাজার পরিবহন নিয়মিত চলাচল করে। যার বেশিরভাগের পার্কিং স্থল সড়কের ওপরই। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসগুলোও রাস্তায় পার্কিং করা হয়। দিনের বেলা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাত্রী নামিয়ে এই সড়কে পার্কিং করে। পরিবহনগুলো দিন শুরু থেকে একের পর এক এসে সড়কের পাশ দিয়ে পার্কিং করতে থাকে। এ দৃশ্য দেখা গেছে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পূর্ব পশ্চিম পাশ।

একজন যাত্রী জানান, বাসের সমস্যাটা এককভাবে চিন্তা করলে হবে না। রাস্তা যেমন সরকার বানায়, তেমনি বাস টার্মিনাল, ঘুরানোর জায়গাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো সরকারেরই নির্মাণ করে দেওয়ার কথা। উন্নত বিশ্বে এমনটাই হয়।

এ বিষয়ে কাচপুর হাইওয়ে থানার টিআই ইব্রাহিম জানান, তাদেরকে বারবার বলা হচ্ছে রোড থেকে বাসগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নিতেছে না আমরা অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানে যাব।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন