সিদ্ধিরগঞ্জে কাজী মো. মাছিহুর রহমানের বিরুদ্ধে বিয়ের জাল কাবিননামা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মো. ফয়সাল আহমদ (২৭) নামে এক ভুক্তভোগী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আদমজী নগর সালেহা সুপার মার্কেটের ২য় তলায় ওই কাজির কার্যালয়।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো. ফয়সাল আহমদ ভোলার লাল মোহন থানাধীন চরটিটিয়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে। ২০২০ সালের গত ২৬ আগস্ট বিবাদী আকলিমাকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ করেন ফয়সাল।
বিবাদীর সাথে তার বনিবনা না হওয়ায় ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিবাদীকে তালাক প্রদান করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন করেন ফয়সাল।
এরপর বিবাদী তার নামে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে ভুক্তভোগী ফয়সাল জানতে পারেন, মামলার নথিতে দেওয়া কাবিন নামাটি ভুয়া এবং প্রকৃত কাবিন নামাটি গোপন করা হয়েছে।
পরে ভুক্তভোগী মো. ফয়সাল আহমদ আদালতে দেওয়া আকলিমার কাবিন নামাটি যাচাই করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আদমজী নগর সালেহা সুপার মার্কেটে এর ২য় তলায় মাছিহুর কাজীর অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ভোলার লাল মোহন থানাধীন চরটিটিয়া গ্রামের ফজলে করিমের মেয়ে মোসাঃ আকলিমা (৩০), কাজী মো. মাছিহুর রহমান কাউছার (৫০) এবং সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার সোবহান ফকিরের বাড়ীর পাশের মসজিদের ইমাম মো. হোসেন (৪৫) পরস্পর যোগ-সাজসে তার স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কাবিন নামা তৈরি করেছে।
যেখানে বিয়ের কাবিন দেখানো হয়েছে চব্বিশ লাখ টাকা। মূলত আকলিমার সাথে মো. ফয়সাল আহমদের বিয়ের কাবিন হয়েছিল পঁাচ লাখ টাকায়।
তবে অভিযুক্ত কাজী মো. মাছিহুর রহমান কাউছার জালিয়াতি করে চব্বিশ লাখ টাকার কাবিন তৈরির কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিয়েতে ছেলে-মেয়ে উভয় পক্ষের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। তাদের সম্মতিতেই চব্বিশ লাখ টাকার কাবিন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ফয়সাল আহমদ বলেন, গ্রামের বাড়ি ভোলাতে আমাদের পারিবারিক ভাবে পঁাচ লাখ টাকার কাবিন করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
পরে সিদ্ধিরগঞ্জে আকলিমার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসলে তারা কৌশলে আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে না জানিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে অভিযুক্তরা উক্ত ভুয়া ও জাল কাবিন তৈরি করেছেন।
এতে আমার কোন অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইয়াউর রহমান জানান, ফয়সাল এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।