সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জে কদমতলী এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আক্তার ওরফে কানা আক্তার গ্রেপ্তার হলেও সহযোগীরা অধরা। কদমতলী এলাকার একাধিক মামলার আসামি ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আক্তার ওরফে কানা আক্তার ছয় হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও তিনশত গ্রাম ওজনের তিন হাজার পুরিয়া হিরোইন সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) কামরুল ইসলাম।
কানা আক্তার এর সিন্ডিকেটের মাদকের অন্যতম সহযোগীরা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জের পেশাধার মাদক ব্যবসায়ী মিশু, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ইকবাল, রতন ওরফে কাইল্লা রতন ও পিচ্চি শামীমসহ আরো অনেকেই রয়েছে ধোরা ছোয়ার বাইরে। এলাকাবাসী এসকল অপোরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মাদক ব্যবসায়ী মিশু সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় বসবাস করে প্রকাশের মাদক বিক্রি করে। কানা আক্তার এর থেকে মাদক সংগ্রহ করে মাদক বিক্রি করে থাকে।
এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ৭নং ওয়ার্ড রয়েছে অলি-গলিতে রয়েছে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবাধ বিচরণ।
তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ জানান আমরা অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছি ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরো জানাগেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মিশু ও পিচ্চি শামীম এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশয়ে তার বাহীনিরা মাদক সাম্রাজ্য পরিচালনা করে আসছে।
মাদকের অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়ে ভয়ংকর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর অপরাধীরা। আগে মাধক শেবীরা টাকার জন্য নিজ পরিবারের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে,তারা টাকার জন্য চুরি ছিনতাই অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
নষ্ট হচ্ছে সমাজ ব্যবস্থা। বাড়ছে নানা মাত্রার অপরাধ। মাদকের কারণেই সমাজের উচ্চ ও নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীরাও মাদকাসক্ত হয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা বলছেন অচিরেই এসব মাদক স্পট ও মাদকের ছড়াছড়ি প্রতিরোধ না করলে স্বাভাবিক জীবণযাত্রা ব্যাহত হবে। এলাকার আইনশংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবেনা।
এদিকে মাদক ও কিশোগ্যাং এর বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে নিয়মিত অভিযান চালালেও রহস্যজনক কারনে অধরা থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বলছে, মাদক ও কিশোরগ্যাং দমনে আমারা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেককেই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অপরাধিকে ছাড় দেয়া হবেনা।