বিশেষ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চিটাগাং রোড ট্রাক টার্মিনাল ছিল নুর হোসেনের সম্রাজ্য। নূর হোসেন এখন নেই কিন্তু তাঁর হাতে গড়া অবৈধ সাম্রাজ্য বহালে রেখেছেন তারি ভাতিজা মোঃ দেলোয়ার হোসেন। সে নূর হোসেনের ভাতিজা মোহাম্মদ দেলোয়ার এখন ট্র্যাক স্ট্যান্ডের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েই শুরু হয় তার নতুন চাঁদাবাজির কৌশল।পথমে দখল নেন ট্রাকস্টান থেকে তার চাঁদাবাজি শুরু দেলোয়ার তার পরে মামার ছত্রছায়ায় নতুন নূর হোসেন তৈরি হয় দেলোয়ার ওরূপে দেলু।সে এখন প্রত্যেক কারখানা থেকে প্রতি মাসে চাঁদা দাবি করে আসছে। সভাপতি দেলোয়ারে নতুন বাহিনীর নাম না বলা এক ডাইভার বলেন চাঁদাবাজের কাছে আমরা জিম্মি। কারণ পাথর বা বালু কিনে বাহির হতেই চাঁদাবাজদের থেকে রক্ষা নাই। প্রত্যেক গাড়ি থেকে ১৮০ টাকা চাঁদাবাজদের দিতে হয় যত গাড়ি লোড নিয়ে বাহির হবে প্রতি গাড়ী ১৮০ টাকা চাঁদা গুনতে হয়। চাদা না দিতে চাইলেই আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মাইর শুরু করে দেলোয়ারের বাহিনীর লোকজন। মাইর শুরু করে গাড়ী ডাইভার চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি সরজমিনে গিয়ে জানা গেল ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মনতব্য কোন নেতা ভালো না কোনো কাউন্সিলর ভালো না তারা ক্ষমতার আগে বলে এক কথা ক্ষমতার পরে দেখা যায় আরেক রূপ এ যেন ভাঘ শিয়ালের দস্তা দস্তি কেউ খাবে তো কেউ পাবে না তা হবে না তা হবে না নূর হোসেন চেয়ারম্যান যে অবৈধ পথে হেঁটে অট্টালিকা গোরেছে তার একই পথে হাঁটছে সভাপতি দেলু ও রুপে দেলোয়ার ট্যাকস্টান সভাপতি ব্যক্তিবর্গ নাম না বলা এলাকাবাসীর মন্তব্য নূর হোসেন চেয়ারম্যান কেও হার মানাবে সভাপতি দেলোয়ার উরফে দিলু এলাকাবাসী কে জিজ্ঞেস করে জানা গেল কেউ। নতুন করে এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ৬০টিও বেশি বাস কাউন্টার যা কিনা পুলিশ বক্স এর সাথে এড করে তোলা হয়েছে এই এইসব কাউন্টার থেকে ৪০ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে কাউন্টার প্রতি এগুলো কি প্রশাসন দেখেনা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে দেলোয়ারের চাঁদাবাজি এই বিষয়ে হাইও পুলিশের বক্তব্য নিতে চালে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে কেটে পড়ে এখন কাকে দোষারোপ করবেন পুলিশকে না চাঁদাবাজদের জনগণ তো চাঁদাবাজের কাছে জিম্মি এখন বাঁচতে হলে চাঁদা দিতেই হবে ? পরের দিন দেখা করলাম হাইও থানার নতুন ওসি ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসা করলাম এভাবে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি চলছে আপনার মন্তব্য কি? ওসি সাহেব সে উত্তর না দিয়ে কাজের অজুহাত দেখিয়ে চলে গেলেন এখন রক্ষক যদি ভক্ষক হয় কি করবেন সাধারণ জনগণ এভাবেই চলতে থাকে প্রতিদিন চাঁদাবাজির মহ উৎস প্রশাসন নীরব দেখার কেউ নেই সাম্রাজ্য দেলোয়ারের হাতে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ ট্যাক টার্মিনাল ঘুরে ঘুরে নতুন খবর জানা গেলো আলোচিত সাত খুনের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এলাকাবাসীর ভাষ্য, সাত খুনের আগে নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখল, চিটাগাং রোড ও শিমরাইল ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি, শীতলক্ষ্যা থেকে বালু উত্তোলন, নদীতীর দখল, মাদক ব্যবসা ও জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এখন নতুন করে নূর হোসেনের ভাতিজা দেলোয়ার কে দেখা যাচ্ছে চাচার পথ আগলে ধরে আছে ভাতিজা এখানেই শেষ নয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি নূর হোসেন ছিলেন স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। শামীম ওসমানের সব কর্মসূচিতে নিয়মিত দেখা যেত তাঁকে। যেদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়, সেদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রাইফেলস ক্লাবে শামীম ওসমানের সঙ্গে নূর হোসেন অবস্থান করেন। গণমাধ্যমকর্মীরাও এই দৃশ্য দেখেছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নূর হোসেনের সঙ্গে শামীম ওসমানের টেলিফোন সংলাপ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তাঁকে দেশ ছেড়ে পালাতেও শামীম ওসমান সাহায্য করেছেন বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে। সাত খুন মামলার বিচার শুরু হলে প্রধান আসামি নূর হোসেনের আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যিনি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও বিস্তারিত আরো সামনে আসবে চোখ রাখুন দৈনিক নারায়ণগঞ্জের ডাক