রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অবৈধ ড্রাম ট্রাক থেকে পুলিশের নামে লুঙ্গি শহিদের চাঁদাবাজি

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩ | ৫:৩৬ অপরাহ্ণ

অবৈধ ড্রাম ট্রাক থেকে পুলিশের নামে লুঙ্গি শহিদের চাঁদাবাজি

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
অবৈধভাবে মাসে ৮ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে কোটি পতি বনে গেছেন একসময়ের ইট ভাটার শ্রমিক শহিদ ওরফে লুঙ্গি শহিদ। হাইওয়ে ও জেলা ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে রুটপারমিট ও ফিটনেসবিহীন লোকাল এবং ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রন করে শহিদ হয়ে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার বাসিন্দা লুঙ্গি শহিদ নিয়ন্ত্রন করছেন ৪ শতাধিক লোকাল ও ড্রাম ট্রাক। এসব ট্রাক থেকে প্রতি মাসে আদায় করছেন ২ হাজার টাকা করে চাঁদা। ওয়াপদা কলনি, রানী মহল, ডেমরা, গাউছিয়া, লাঙ্গলবন্দ, ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় শহিদের নিয়ন্ত্রন চলছে রুটপারমিট বিহীন এসব ট্রাক। ট্রামিক নিয়ম না মেনে এসব ট্রাক দিয়ে মাটি আনা নেওয়া করছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন জনবহুল সড়ক দিয়ে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, একসময় শহিদ আটি এলাকায় বাবুল এর ইটভাটায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতেন। পরে মাটির ঠিকাদারের সাথে সম্পর্ক গড়ে শুরু করেন ট্রাক থেকে মাটি ও বালু উঠা নামার কাজ। একপর্যায় বনে যান চিনা সরর্দার। সর্দারি করার সুবাদে তার সুসম্পর্ক হয় বিভিন্ন ট্রাক মালিক ও চালকদের সাথে। দিনে মহাসড়কে মাটি বালুবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার পর খুলে যায় শহিদের ভাগ্য।
সূত্র জানায়, জেলা ট্রাফিক ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে শহিদ নিষিদ্ধ এসব ড্রাম টাক চলাচলের ব্যবস্থা করেন। পুলিশ ম্যানেজ করার কথা বলে প্রতি ট্রাক থেকে মাসে চাঁদা আদায় করেন ২ হাজার টাকা করে। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রনে চাঁদা দিয়ে অবৈধভাবে জেলায় চলাচল করছে ৪ শতাধিক ট্রাক। পরিসংখ্যান মতে ৪ শতাধিক ট্রাক থেকে শহিদের মাসোহারা আদায় হচ্ছে ৮ লাখ টাকার অধিক। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করে মাসে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে লুঙ্গি শহিদ। ফলে এক সময় যার নুন আনতে পানতা পুরাতো সেই শহিদ এখন রাজকীয় জীবন যাপন করছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক, শহিদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, ’এসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ট্রাক আটক করে ডাম্পিং করা হয়। আমার নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতেই চাইলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একে এম শরফুদ্দিন বলেন, ’শহিদ নামে কাউকে আমি চিনিনা। মহাসড়কে মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই আব্দুল করিম বলেন, উৎকোচত দূরের কথা শহিদ কে তাকে আমি চিনিনা।
এবিষয়ে শহিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ ত্রিশটি গাড়ি দেখা শোনা করি। এসব গাড়িগুলো ম্যানেজ করেই চালাতে হয়।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন