বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বুধবার | ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তা ফরিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবার

শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩ | ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি কর্মকর্তা ফরিদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ  পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগী পরিবার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়ে মিথ্যা ও মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করে এক অসহায় পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়াস্থ এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়াস্থ এলাকায় ভুক্তভোগী মো: আক্তার হোসেন (৩৫), আবদুল মোতালেব (৬৫), আবদুল হান্নান (৫০), মোসা: হোসনেয়ারা বেগম ওরফে খুশি (৪০), মো: সামছুল হক (৫২), শিউলী আক্তার (৩৬), আবদুর রহমান ওরফে রহমান (৫৭) ও হালিমা বেগম (৫৭) দীর্ঘদিন ধরে টিনের তৈরি ঘর বানিয়ে করে বসবাস করছেন। কিন্তু অভিযুক্ত সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও রোড মন্ডলপাড়া এলাকার আবুল কাশেম মেম্বারের ছেলে ডি. এম. আলমগীর উক্ত বসবাসরত জমিতে ক্রয় সূত্রে তার সম্পত্তি রয়েছে দাবি করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে একটি পিটিশন (মামলা নম্বার-৫৭৮) মামলা দায়ের করেন। যার তফসিল অনুযায়ী আর.এস খতিয়ান ১৯১২, এস.এ দাগ ৩১৬৯ ও আর.এস দাগ ৬৯০৭।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তফসিল বর্ণিত ভূমি সরেজমিনে তদন্ত করে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমানকে।
পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান ঘটনার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান নয়নকে। এস আই মশিউর রহমান নয়ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ভুক্তভোগীদের টিনের তৈরি ঘর বানিয়ে বসবাস এবং ভোগ দখলের সত্যতা পান। তদন্ত অনুযায়ী এসআই নয়ন ঘটনার বিবরণ আদালতে দাখিল করেন।
অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল থেকে ঘটনার সঠিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদকে। কিন্তু ফরিদ আহমেদ অভিযুক্ত ডি. এম. আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৬৩ বছর যাবৎ তারা এই জমিতে টিনের তৈরি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তাদের নামে উক্ত বাড়িতে বৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎতের সংযোগ রয়েছে বলে জানান তারা। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ আমাদের পক্ষে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। আমরা তার কথা মতো টাকা দিতে না পারায় তাদের (অভিযুক্ত ডি. এম. আলমগীর হোসেন) কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত না করে তার মনগড়া ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।
সিদ্ধিরগঞ্জ বাজারস্থ এলাকার রশিদ মিয়া জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ টাকা ছাড়া কোন কাজ করেন না। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। টাকা দিলে পক্ষে রিপোর্ট দেন আর টাকা না দিলে বিপক্ষে চলে যায়। এক কথায় সাধারণ মানুষ জিম্মি তার কাছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে ( মোবা: ০১৮১২৪…৯৪) একাধিকবার ফোন দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন