মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আজ মঙ্গলবার | ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

বাহাদুর ৮ লাখ জমিদার ৬ লাখ

শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১ | ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

বাহাদুর ৮ লাখ জমিদার ৬ লাখ

কোরবানীতে নানা জাতের গরুর চাহিদার সাথে হরেক রকম নামও নজর কাড়ে ক্রেতাদের। আর এই নজর কাড়তে বেপারীরা গরুর নাম দেন রাজকীয় এবং ঐতিহ্যবাহী বা প্রভাবশালী পরিবারের নাম করণে। যেমন রাজা, বাদশা, জমিদার, বাহাদুর, রাজা বাবু এমন অনেক নাম কোরবানীর পশুর হাটে গরুর নাম দেখা যায়। তেমনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার এনায়েত নগর ইউনিয়নের নবী নগরে তারা স্পিনিং মিলের ভেতর ‘রেঞ্জার্স র‌্যাঞ্চ’ খামারে এমন নাম পাওয়া গেছে।
খামার কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে কোরবানীর জন্য তৈরী করা হয়েছে ২৭টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু। খইল, ভ’সি, খড় ও নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ঘাষসহ স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়ানো হয়েছে গরুগুলোকে। দেখতেও অনেক আকর্ষনীয়।
এরমধ্যে খামারে বাহাদুর নামে গরুর ওজন ১ হাজার ১১ কেজি। হলিষ্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুর দাম হাকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। আর ফ্রিজিয়ান জাতের গরু জমিদারের ওজন ৮০৫ কেজি। দাম ৬ লাখ টাকা। এখানে সবচেয়ে ছোট গরুটির ওজন ৩৮০ কেজি যার চাহিদা মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। খামারে সবচেয়ে ছোট গরুটির ওজন ৩৮০ কেজি। যার চাহিদা মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও খামারের রয়েছে ক্রস, শাহী ওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরু। এই খামারের ভুটানি প্রজাতির ছোট গরু ভুট্টির বেশ চাহিদা রয়েছে। ছোট এই গরুটির ওজন ১৭০ কেজি। তবে খামার কর্তৃপক্ষ এর চাহিদা মূল্য এখনও নির্ধারণ করেননি।
রেঞ্জার্স র‌্যাঞ্চ খামারে কোরবানির উপযোগী করে উৎপাদন করা বড় গরু বাহাদুরই নারায়ণগঞ্জ জেলার খামারিদের উৎপাদন করা গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে জানান ওই খামার ও তারা স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপক (এইচ আর ও এডমিন) মো. মতলুবের রহমান।
তিনি জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে অর্গানিক খাদ্য দিয়ে এ গরুগুলো লালন পালন করা হয়েছে। এখানে থাকা ক্রস, শাহী ওয়াল ও ভুটানিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গরুগুলো কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা কোরবানির গরু কিনতে চায় তাদের জন্য রেঞ্জার্স র‌্যাঞ্চ খামারে কোরবানির উপযোগী সু-স্বাস্থ্য, দৃষ্টিন্দন রংয়ের গরু রয়েছে। ক্রেতার চাহিদার মধ্যে বিভিন্ন মূল্যের গরু রয়েছে খামারে। গরুর মূল্য উল্লেখ করা হলেও আলোচনা সাপেক্ষে তার মূল্য পূর্ণ নির্ধারণ করা যাবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, তারা স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাদেকুর রহমান মনির নিজেদের দুগ্ধ চাহিদা মেটানোর জন্য ২০২০ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে দুটি গাভি দিয়ে এ খামারটির যাত্রা শুরু করেন। চলতি বছরে বাণিজ্যিকভাবে রেঞ্জার রেঞ্জ খামারটির কার্যক্রম শুরু হয়। এখন খামারে ৩২টি গরু রয়েছে। এরমধ্যে একটি হলিষ্টিন ফ্রিজিয়ান ও একটি ফ্রিজিয়ান ষাড়সহ ২৭টি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সবুজ ঘাস ও খৈল-ভূষি আমাদের ফার্মের গাভী ও ষাড়ের প্রধান খাদ্য। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খামার পরিচালনা করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক খাবার ছাড়া কোন কৃত্তিম খাবার খামারে ব্যবহার করা হয় না।
গরু দেখতে আসা ইমরান নামে এক দর্শনার্থী বলেন, রেঞ্জার্স র‌্যাঞ্চ খামারে বেশকিছু উন্নত জাতের ষাড় গরু রয়েছে। এর মধ্যে হলিষ্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের যে গরু দুটি রয়েছে সেগুলো আকারে অনেক বড়। যেমন লম্বা তেমনি উচ্চতা। এ ছাড়াও এ খামারে থাকা অন্য গরুগুলোও বেশ সূ-স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের অধিকারী। আজকে দেখতে আসলাম।
এদিকে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে রেঞ্জার্স র‌্যাঞ্চ কর্তৃপক্ষ ফতুল্লা হাটে বিক্রির জন্য জমিদার ও বাহাদুরসহ ৫টি গরু নিয়েছেন। বিকাল পর্যন্ত ২টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা জহিরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, জমিদার ও বাহাদুরসহ ৩টি গরু হাতে আছে। খামার থেকেওে অনেক গরু বিক্রি হয়ে গেছে এবং হচ্ছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন