হৃদয় মাহমুদ জনি, সংবাদদাতা নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই মাদকে ছেয়ে গেছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার সর্বত্রই অবাদে চলছে মাদক বিক্রয় ও সেবন। দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের আতংকের মধ্যেও থেমে নেই মাদকের রমরমা ব্যবসা। ৬ মাস দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতে যখন পুলিশ একটু নিরব ভূমিকা পালন করছে সেই সুবাদে মাদক ব্যবসায়ীরা হয়ে উঠেছে বেপোরোয়া। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মাদক ব্যবসায়ী গড়ে উঠছে। তাছাড়া এলাকাটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সংলগ্ন হওয়ায় সহজে বর্ডার থেকে মাদকের চালান আসছে।
উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের জাঙ্গীর, ভক্তবাড়ী, বাঘবের, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া, নাওড়া, বরুনা, মুড়াপাড়া ইউনিয়নের নগর, ব্রাহ্মনগাঁও দেওয়ানবাড়ী, মাহমুদাবাদ, দড়িকান্দী, মঙ্গলখালী, পাবই, ঠাকুরবাড়িটেক, বানিয়াদী, গঙ্গানগর ও মাছিমপুর, ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর, বিরাব, চারিতালুক, ভোলাব, তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর, কর্ণগোপ, তারাব নোয়াপাড়া, হাটিপাড়া, মাসাব, যাত্রামুড়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট, হোরগাঁও, গোলাকান্দাইল, বালিয়াপাড়া, ভূলতা ইউনিয়নের গাউছিয়া মার্কেট, ছোনাব, পাড়াগাঁও, লাভরাপাড়া, কাঞ্চন পৌরসভার কাঞ্চন ব্রিজ, হাটাব, কলাতলী, কেন্দুয়া, দাউদপুর ইউনিয়নের খৈশাইর, বেলদী, হিরনাল, পুটিনা, শিমুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা।
মরনঘাতী ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, হিরোইনসহ সকল ধরণের মাদকই অবাধে মিলছে। অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় ও এলাকায় টাকার প্রাচুর্জতা থাকার কারণে দিন দিন মাদক ব্যবসা রমরমা হয়ে উঠেছে। মাদকের সহজলভ্যতার কারণে স্থানীয় শিশু, কিশোর ও যুবকেরা প্রতিনিয়ত মাদকের করাল গ্রাসে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে বাড়ছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ধর্ষণ সহ নানা ধরণের অপকর্ম।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান ও গ্রেফতার অব্যহত রয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেয়া হবে না ।