বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

সিদ্ধিরগঞ্জে নাবিল হত্যাঃ মায়ের মরদেহ নরসিংদী আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জে নাবিল হত্যাঃ মায়ের মরদেহ নরসিংদী আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে হত্যাকান্ডের পর পলাতক মায়ের মরদেহ নরসিংদীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজিড়মোড়ের নিরালা নামে আবাসিক হোটেল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ।সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, নরসিংদীতে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশের বাবার নাম ও চেহারায় মিল পেয়েছি আমরা। লাশ শনাক্ত করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ওই নারীর নাম নাছরিন হলেও হোটেলের রেজিস্টারে তার নাম রেহানা আক্তার লেখা ছিলো।
গত রোববার (৩০ মে) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়। নাবিলের মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাছরিন আক্তারকে দায়ী করছেন বাবা সগির আহমেদ। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাছরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেন। তবে ঘটনার পর থেকেই নাছরিন পলাতক।গত সোমবার বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজীরমোড়ে একটি আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিরালা নামের আবাসিক হোটেল থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হোটেলটির রেজিস্টারে ওই নারীর নিজের নাম লিখেছিলেন রেহানা আক্তার। বাবার নাম লিখেছিলেন আবু তাহের এবং মায়ের নাম ফাতেমা জোহরা। ঠিকানা উল্লেখ করেছেন নরসিংদীর মাধবদীর ডৌকাদি গ্রাম। তবে রেজিস্টারে পাওয়া তাঁর নাম-পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার (৩০মে) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই নারী একাই হোটেলে রাত্রিযাপন করতে আসেন। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, গাজীপুর থেকে তিনি এসেছেন। রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলে থাকতে চান। রেজিস্টারে নাম-ঠিকানা লেখার পর ওই নারীকে হোটেলটির নিচতলার ৬ নম্বর কক্ষ দেওয়া হয়। ওই সময় তিনি একটি পলিথিনের ব্যাগে করে রাতে খাওয়ার জন্য নাশতা সঙ্গে এনেছিলেন। এরপর তিনি আর ওই কক্ষ থেকে বের হননি। সোমবার সকালে তাঁর কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন হোটেলটির কর্মচারীরা। পরে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মুঠোফোনে ঘটনা জানানো হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ এসে ওই কক্ষের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, খবর পেয়ে দুপুরের দিকে তারা ওই আবাসিক হোটেলে গিয়ে নারীকে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে দরজা ভেঙে ওই কক্ষে প্রবেশ করে পুলিশ। এ সময় গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় তারা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ওই নারী আত্মহত্যা করার জন্যই গতকাল সন্ধ্যায় হোটেলটিতে উঠেছিলেন। তবে যে মুঠোফোন নম্বরটি তিনি রেজিস্টারে উল্লেখ করেছিলেন, তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি মুঠোফোনটি সঙ্গে এনেছিলেন কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সার্বিক দিক মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেলটির ম্যানেজারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন