রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজরে সড়কজুড়ে স্ট্যান্ড, ফুটপাতে দোকান : ভোগান্তি

মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪ | ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

আড়াইহাজরে সড়কজুড়ে স্ট্যান্ড, ফুটপাতে দোকান : ভোগান্তি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার বাজারের ভেতর দিয়ে চলমান ভুলতা-বিশনন্দী আঞ্চলিক মহাসড়ক। ওই সড়কজুড়ে যেখানে-সেখানে স্ট্যান্ড বানিয়ে ফেলেছেন অটোরিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। ফলে যানজট এ বাজারের নিত্যসঙ্গী। সেই সঙ্গে ফুটপাতে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। তাদের জন্য সেখান দিয়ে হেঁটে যেতেও কষ্ট হয় পথচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা চলে এলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এসব যেন গা-সওয়া। আর নিত্য ভোগান্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী-পথচারীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, আড়াইহাজার বাজারের ডাকবাংলো থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দোকান। যত্রতত্র থামিয়ে রাখা হয়েছে ভ্যান, রিকশা ও ইজিবাইক। ফুটপাত ছাড়াও মূল সড়কে ফল, আতর, টুপি, শরবতের দোকান দেখা গেছে। ফলে প্রধান সড়কের একাংশ তাদের দখলে। ডাকবাংলো থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত সব মিলিয়ে এমন দোকান সংখ্যা শতাধিক।

দোকান বসানোর জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ চঁাদা দিতে হয় বলে জানান ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। হাটের দিন এই অঙ্ক বেড়ে যায়। তবে কত টাকা দিতে হয়, কাদের দিতে হয়– এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা। কয়েকজন ব্যবসায়ীর ভাষ্য, নাম বললে আর ব্যবসা করে সংসার চালাতে পারবেন না।

একটি ফলের দোকানের কর্মী জানান, মালিক যেভাবে নির্দেশ দেন– সেভাবেই ব্যবসা করতে হয়। সড়কে দোকান বসানোর কারণ জানতে চাইলে বলেন, ব্যবসার জন্য এখানে ছাড়া অন্য জায়গা নেই। তারা কোথায় যাবেন?

ওই বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ মিয়া, রতন মিয়া, আবু দায়েন, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন, শহীদুল্লাহ মোল্লাসহ কয়েকজন  জানিয়েছেন, লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকান নিতে হয়েছে। মাসে ভাড়া হিসেবে গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা। অথচ ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও অটোচালকদের কারণে বাইরে থেকে আনা পণ্যের গাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাখতে পারেন না। প্রতিনিয়ত এ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। ফলে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, ফুটপাত দেওয়া হয়েছে মানুষের হয়রানি কমাতে। উল্টো সেখানেই মানুষকে বেশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। প্রশাসন এসব কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি।

কয়েকজন পথচারী বলেন, ফুটপাত দিয়ে হঁাটার কোনো পরিবেশ নেই। ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা দখল করে নেওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে যেতে হয়। এতে যানজটও বাড়ে। তাদের অভিযোগ, পুরো সড়কই যেন অটোরিকশা স্ট্যান্ড হয়ে গেছে। তারা যেখানে খুশি সেখানে যাত্রী নামিয়ে দঁাড়িয়ে থাকে। দোকানি, রিকশাচালক ও অটোচালকরা কারও কথা মানছেন না। প্রতিবাদ করলে নাজেহাল হতে হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ বলেন, সড়কে অটোরিকশা না থামিয়ে রাখতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরও চালকরা কথা শোনে না। দ্রুত সময়ে সড়কের বিশৃঙ্খলা নিরসনের আশ্বাস দেন তিনি।

পৌর মেয়র সুন্দর আলী জানিয়েছেন, বাজারের বাইরে অটোরিকশার স্ট্যান্ড স্থাপনের চেষ্টা চলছে। তঁার আশা, এটি সম্পন্ন হলে জনদুর্ভোগ পুরোপুরি কমে যাবে।

ইউএনও ইশতিয়াক আহাম্মেদের ভাষ্য, অবৈধভাবে সড়কের জায়গা কোনোভাবেই দখল করা যাবে না। এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন