শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০ | ৭:২৪ অপরাহ্ণ

ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। ৯ দফা দাবিতে সোমবার থেকে ধর্মঘট করার কথা ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রবিবার বিকেল ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাক মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্থ করা হয়। এবং পর্যায় ক্রমে তাদের দাবি পূরণের কথা জানানোর পর ধর্মঘট থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন তারা। সভায় উপস্থিত ছিলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান, সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলামসহ সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমদু অপু জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। এ সময় পণ্যবাহী সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা ৯ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি দেন। ১২ অক্টোবর ভোর ৬টা থেকে ১৪ অক্টোবর ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী সব পণ্য পরিবহনকারী যানবাহন (ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান, প্রাইমমুভার, লং ভ্যাহিক্যাল, পিকআপ) বন্ধ থাকবে। ৯ দফা দাবির মধ্যে ছিল গত ২৬ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ গাবতলী এলাকায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে ৭টি ট্রাক ও ড্রাম-ট্রাক ভাঙচুর, চারটি মালামালসহ ট্রাক নিলামে তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ওই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মহাসড়কের পাশে এবং জেলায় জেলায় আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে, টঙ্গি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টার্মিনাল স্থায়ী করতে হবে, যাত্রাবাড়ী ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সারা দেশে স্থায়ী টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে তদন্ত ছাড়া ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সম্পর্কে যে সব সংশোধনী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে, বিআরটিএ-এর কাছে জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স অবিলম্বে সরবরাহ করতে হবে এবং না দেওয়া পর্যন্ত ড্রাইভারদের চলমান লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালনার সুযোগ দিতে হবে, যানবাহন বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে, সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি-মাস্তানি-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, বিআইডব্লিটিএ বিভিন্ন ফেরিঘাটে ও টার্মিনালে ঘাট ইজারা দেওয়া বন্ধ করে আগের মতো বিআইডব্লিউটিএ-এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।

১১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ১২ অক্টোবর থেকে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে পরিবহন নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠায়।

সূএ – কালের কন্ঠ




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন