শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে দেওয়ানবাগ এলাকায় তেল চোর  আবু হাসান গংদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি 

শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪ | ৪:০৮ পূর্বাহ্ণ

বন্দরে দেওয়ানবাগ এলাকায় তেল চোর   আবু হাসান গংদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি 

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে  বন্দরে ঢাকা টু চট্টগ্রাম  মহাসড়কে তেল চোরদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । স্থানীয়দের অভিযোগ বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার হাজী মোহাম্মদ হযরত আলী ছেলে তেল চোর আবু হাসানগং ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ এলকায় অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অবৈধ তেলের দোকান। 

এর মধ্যে নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স, বা টিন সার্টিফিকেট। বন্দর থানা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ পূর্বক চালাচ্ছে তাদের গাড়ি থেকে তেল নামানোর কাজ। মহাসড়কের তেল চোরদের ভয়ে স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।  কারন তাদের মাথার উপর রয়েছে বড় ভাইদের হাত আবার প্রশাসনিক সার্পোট। 

মহাসড়কের ঢালে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  চলে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড। খেঁাজ নিয়ে জানাগেছে,  ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তেল চোর আবু হাসানের আরো ৩/৪ টি তেলের দোকান রয়েছে। তাকে দেখে সেখানে গড়ে উঠছে আরো অবৈধ তেলের দোকান। তেল চোরদের সিন্ডিকেটের মূল হোতারা প্রতিবারেই থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে।  প্রশাসনিক বা অন্য কোন সমস্যা হলে তারা সলিশন করে।  

এমনকি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ী চালকদের সাথেও রয়েছে গভীর সম্র্পক। মহাসড়কে একের পর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠা তেলের দোকান নিয়ে শংকিত সচেতন মহল।

সূত্র মতে,  নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা জমে উঠেছে। সরকারি অনুমধন ছাড়াই প্রকাশে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে প্রায় কয়েশত অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বসিয়ে অর্থলোভি ব্যক্তিরা ব্যবসা করছে, প্রশাসন তা দেখেও নিরব। সচেতন মহলের ধারনা অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের ফলে পরিবেশ দূষন করে আসছে।  

পেট্রোলিয়াম এ্যক্ট, ১৯৩৪ ও তদধীন প্রনীত বিধিমালার শর্তাবলী অনুসারে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠাকালের অনুমোদিত নকশা বিহীন এবং বিষ্ফোরক লাইসেন্স বিহীন অননুমোদিত স্থানে বা আবাসিক এলাকায় জ্বালানি তেলের ডিপো বা দোকান স্থাপন করা যাবে না। পেট্রোল- ডিজেলের ব্যবসার জন্য বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পূর্ণ অনুমতি নেওয়া বাধ্যতা মূলক। 

অথচ বন্দরে মুদীদোকানসহ বিভিন্ন দোকান গুলতে এই জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে যাচ্ছে সাধারন ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এমনকি কোন কাগজপএ ছাড়াই। গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর থানার ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের দেওয়ানবাগ, মদনপুর,  ফুলহরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে অস্থায়ী ও স্থায়ী অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের  দেখা মিলে। 

এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি তেল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা যায় ভূয়া অনুমোদনের ডিলার ও এজেন্ট এর স্টিকার যুক্ত সাইন বোড লাগিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে। অবৈধ দোকান গুলোতে তেল সংগ্রহ পদ্ধতিও ঝুকিপূর্ণ। মালবাহি ট্রাক, কন্ট্রিনার, প্রাইভেটকার, নসিমন ও বিভিন্ন পন্যবাহী গাড়ীর চালকদের কাছে এই তেলের বেশ কদর রয়েছে।

মহাসড়কে অবৈধ তেলের দোকানগুলোর বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার  সাড়াশি অভিযানের দাবী এলাকাবাসী।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন