সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর এক প্রতারকের নাম সাজিদ। বিভিন্ন জমির মালিকদের ব্ল্যাকমেইলিং করছে আলমগীর হোসেন সাজিদ। জালদলিল সৃজন করে জমির মালিকানা দাবি করে মামলা ও অর্থ দাবি করা ওই প্রতারকের নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে সাজিদ দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমগীর হোসেন সাজিদ পটোয়াখালী জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার পরিচয় দিয়ে জাতিয় পরিচয়পত্র করলেও বর্তমানে ভাড়ায় বসবাস করছেন আটি ভূমিপল্লি এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, আলমগীর হোসেন সাজিদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে স্বাধীনতার আগের তারিখ দিয়ে জমির ভূয়া দলিল সৃজন করেন। পরে এসব দলিলমূলে জমির ওয়ারিশ সাজিয়ে তাদের পক্ষে বর্তমান মালিকদের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন।
এরকম একাধিক মামলার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলা করার পর আপোষ মিমাংশা করতে জমির মালিকদের কাছে অর্থ দাবি করেন। সহজ সরল অনেক জমির মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রতারক সাজিদের করা মামলায় অনেকই হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
সাজিদের করা মামলার শিকার আব্দুল মতিন নামে একজন ভোক্তভূগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাব দাদার আমল থেকে ভোগদখল করে আসা আমার জমির জাল দলিল তৈরি করে সাজিদ নারায়ণগঞ্জ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা করেছে। অথচ যাদের জমির মালিক দেখানো হয়েছে তারা বহু বছর আগেই মারা গেছেন। মামলা দিয়ে হয়রানী করে আমার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি করেছে সাজিদ। শুধু আমি একা নই। এরকম আরো বহু লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সাজিদ। তিনি আরো জানান, মামলায় উল্লেখ করা ঠিকানায় থাকে খোঁজে পাওয়া যায় না। ভূয়া ঠিকানা দিয়ে তিনি এসব মামলা করেন। বহু খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি সাজিদ আটি ভূমিপল্লিতে ভাড়া থাকেন। তবে সেখানে গিয়ে তাকে বাসায় পাইনি।
এবিষয়ে জানতে আলমগীর হোসেন সাজিদের সাথে যোগাযোগ করতে তার জাতিয় পরিচয় পত্রে উল্লেখ করা ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন, এসব তথ্য মিথ্যা, আমাকে ফাঁসানোর জন্য বলেছে।