শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

প্রত্যেকটা ধর্মেই একটা নিয়ম ও নীতি আছে-বলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১ | ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

প্রত্যেকটা ধর্মেই একটা নিয়ম ও নীতি আছে-বলেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন,আমি তো ভেবেছিলাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) থাকবেন। আমি আইভীর কথা বলবো না কারণ তার মা মারা গেছে, এখানে আসার মানসিক অবস্থা তার আছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু সিইও কোথায় কিংবা নির্বাহী প্রকৌশলী কোথায় ? যার তত্ত্বাবধায়নে এ কাজ হয়েছে। যাদের কারণে আজকে বুঝা যাচ্ছে না কার মরদেহ কোনখানে। কোথায় তারা ? তাদের তো থাকা উচিত ছিল। অব্যশই এ বিষয়ে তদন্ত হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট)দুপুর ১২টায় মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় সিটি কবরস্থান পরিদর্শন শেষে উক্ত কথা বলেন তিনি। এমপি শামীম ওসমান বলেন,আমি জাতির উদ্দেশ্যে বলতে চাই যারা বা যে এই কাজটি করিয়েছেন তারা প্রথমে চেষ্টা করেছেন সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য। নারায়ণগঞ্জ কোন সাম্প্রদায়িককে অসাম্প্রদায়িক করতে চায় না। তা নাহলে এখানে প্রথম কবরস্থান পরে হিন্দুদের শ্মশান এবং খ্রিষ্টানদের কবরস্থান থাকতো না। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন দেখেছিলাম এখানে পিন্ডদান করা হতো। আগে উচিত ছিলো এখানে বেড়া দিয়ে কাজটি করার সেটা ভালো হতো।

সেটা না করে যে কাজটি করেছে আমি এখন পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের উর্ধতন কর্মকর্তারা,ইঞ্জিনিয়ার যারা সরকারের পয়সায় লালিত পালিত আমি তাদের দেখি নাই এখানে এবং আমার সাথে কথাও বলেনি অন্য কারো সাথে কথা বলার প্রশ্নও উঠেনি।

তিনি আরো বলেন,আমি তো আপনাদের সহযোগিতায় আমার বাবা-মা,ভাইয়া,দাদীর কবর উদ্বার করলাম। কিন্তু এখানে অনেক বীরমুক্তিযোদ্ধাদের কবরেও যে মাটি গুলো দেওয়া হয়েছে তা এখানে আসতে পারে না। কারন প্রত্যেকটা ধর্মেই একটা নিয়ম ও নীতি আছে। এই নীতি মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত। একটা মসজিদের সামনে ও ভিতরে কোরবানি দিতে পারি কিন্তু একটা মন্দিরের সামনে আমি কোরবানি দিতে পারি না।সেই হলো সাম্প্রদায়িক যে এ কাজ করে সে অসাম্প্রদায়িকতা চায়।

তিনি আরো বলেন,এই কাজটিও এমন একটা কাজ যেখানে শ্মাশানের মাটি এনে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা কোন মানুষ মানতে চাইছে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে। দ্বিতীয় হলো সাম্প্রদায়িক প্রীতি নষ্ট করা। আমি বিশ্বাস করি আমরা ন্যায্য বিচার পাবো। আমি বিশ্বাস করি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থেকে এ বিচার পাবে কারন এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের সরকার। আর এই সরকারের ক্ষমতায় জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আছে। তাই আমি মনে করি অবশ্যই এর বিচার হবে দোষী ব্যক্তির বিচার করা হবে। আমি কারো বিরুদ্ধে তখনো কথা বলেনি এখনো বলতে চাই না।তবে একটা কথা বলতে চাই দুনিয়ায় যে আজাব আসে তা বিনা কারনে আসে না। এই যে করোনাভাইরাস দেখেন এইগুলা বিনা কারনে আসে না।

ওসমান পরিবারের ৩ সদস্যের নামে তিন স্থাপনার নামকরণে বিরুপ মন্তব্য করার প্রতিবাদ করে শামীম ওসমান বলেন,আমার বাবা সামসুজ্জোহা একজন ভাষা সৈনিক,মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, আমার মা ভাষা সৈনিক ও আমার ভাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রথম অস্ত্র হাতে লড়াই করেছে বীরমুক্তিযোদ্ধা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নামকরণ করা হয়েছে। এই নামকরণ করা হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড একেএম সামসুজ্জোহার নামে বঙ্গবন্ধুর সহচর। নাগিনা জোহা তার নামে নামকরণ করা হয়েছে চাষাড়া টু আদমজী,শীতলক্ষ্যা ব্রিজ করা হয়েছে নাসিম ওসমানের নামে।কে করেছে এ নামকরণ।অনুমোদন কে দেয় এই অনুমোদন দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে কাগজ সব বিভাগে ঘুরে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতিক্রমে এই নামকরণ করা বাস্তবায়িত হয়।

এর আগে শামীম ওসমান তার বাবা-মা,বড় ভাই,দাদী ও অন্যান্য স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের কবরে চাদর চড়িয়ে আতর বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা,যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু,সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন,নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি,এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান,ফতুল্লা ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার লূৎফর রহমান স্বপন প্রমুখ।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন