বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

আমার বড় ছেলেকে মামলার আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক : সিরাজুল ইসলাম মন্ডল

সোমবার, ৩০ আগস্ট ২০২১ | ১:০৪ অপরাহ্ণ

আমার বড় ছেলেকে মামলার আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক : সিরাজুল ইসলাম মন্ডল

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা। গত শনিবার রাতে শাশুড়ি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলো- গোদনাইল এসও মন্ডলপাড়া এলাকার আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম পলাশ (১৮) ও মো. জাহিদুল ইসলাম (২৬)। মালার বাদী সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৬নং ওয়ার্ড সুমিলপাড়া এলাকার হারুনুর রশিদের স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৩)। জানা গেছে, বাদীর মেয়ে জান্নাতুল আক্তার (১৪)এর সঙ্গে ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তরিকুল ইসলাম পলাশ। সে-সুবাধে তারা গত মে মাসের ২৪ তারিখ পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য ও দুই লাখ টাকা উশুল দিয়ে গোপনে বিয়ে করে। মামলায় মেয়ের বয়স ১৪ উল্লেখ করা হলেও কাবিন নামায় ১৮ দেখানো হয়েছে। আড়াইহাজার থানার কাজী ইউনুস আলী বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন। বিয়ের পর তরিকুল স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতে না নিয়ে শশুর বাড়ীতে রাখেন। বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের পরিবার জানতেন। তাই তরিকুল শশুর বাড়ীতেই স্ত্রীর সঙ্গে মাঝে-মাঝে রাত খাটাত। তবে জানতেন না তরিকুলের পরিবার।

মো. জাহিদুল ইসলাম ও মো. তরিকুল ইসলাম পলাশের পিতা নাসিক ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম মন্ডল জানান, ধর্ষনের অভিযোগ সত্য নয়। ওই কিশোরীর সাথে আমার ছেলের বিয়ের কাবিন রয়েছে। আমাকে হয়রানি ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ছেলে মেয়ের প্রেম ও বিয়ের বিষয়টি আমি জানতাম না। পরে দেখি কাবিনে ছেলে মেয়ের প্রাপ্ত বয়স উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে তারা দুইজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। দেশের প্রচলিত আইনে ১৪বছরের মেয়ের বিয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে পড়ে। আমি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে বাল্য বিয়ে সমর্থন করতে পারিনা। তাই ছেলে মেয়েরা না-বুঝে যে ভুল করেছে তার একটি সামাধানের জন্য গত, ২৭,আগস্ট উভয় পরিবার বৈঠকে বসি। আমি আইন অনুযায়ী সামাধানের সম্মতি জানালেও মেয়ের পরিবার একটি মহলের ইন্দনে আমার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে আমার বড় ছেলেকে মামলার আসামি করা ষড়যন্ত্রমূলক। মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সুবাধে গত (১৮ই মে) তরিকুল জান্নাতুলের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। তখন থেকে জান্নাতুল বিশ্বাস করে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কথা বলেই বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। সর্ব শেষ গত ২৩ আগস্ট ভোরে বাদীর নিজ বাড়ীতে জান্নাতুলকে ধর্ষণ করে। তখন কবে উঠিয়ে নিবে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে উঠিয়ে নেবার আশ্বাস দিয়ে তরিকুল চলে যায়। পরে পরিবারের কূ-পরামর্শে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। তরিকুলের বড় ভাই জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিবেন না বলে হুমকি দেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন