নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই যে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যেন তারা বাসা থেকে বের না হয়। জরুরী হলে যারা বের হবেন তারা যেন বিধি-নিষেধগুলো মেনেই বের হন। নারায়ণগঞ্জ একটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অঞ্চল। আমাদের নিয়মিত পুলিশবাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে নিবৃত রাখতে। আমরা কোনোভাবেই আমাদের জেলার কোনো মানুষকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানার আওতায় আনতে চাই না। যদিও লকডাউনের গত দুইদিনে সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে চলাচল করায় প্রায় ১২০টি মামলায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে নগরীর লকডাউনের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ আরোও বলেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপে দেশেরে অন্যান্য জেলার তুলনায় আমাদের অবস্থা একটু হলেও ভালো ছিলো। আমাদের শনাক্তের হার বাড়ছে কিন্তু আমরা যদি পরীক্ষার হার বাড়িয়ে দেই তাহলে আমাদের শনাক্তের হারও কমে যাবে। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা, পুলিশ বিভাগ, সেনাবাহিনী এবং বিজিবি যারা রয়েছেন সবাই একটি টিম হয়ে কাজ করছেন। আপনারা দেখেছেন আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, এসিল্যান্ডরা এই তিন দিনে বৃষ্টির ভেতরেই কাজ করেছেন।
তিনি বলেন- আমরা চাই যাতে করে নারায়ণগঞ্জবাসী সুস্থ থাকে। আমাদের প্রত্যাশা নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ এই কাজে আমাদের সহযোগীতা করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামান হিমু প্রমুখ।