কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ গত এপ্রিল মাসে ৫৪১ টি পরিবহনকে মামলায় দিয়ে মোট জরিমানা করেছেন ১৬ লক্ষ তেইশ হাজার টাকা সর্বোচ্চ আদায় করেছেন। গত মার্চ মাসে ১০ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।বিগত মাসের তুলনা অনেক বেশি মামলা করা টাকা আদায়ের হারও বেশি হয়েছে।এপ্রিল মাসে ই-প্রসিকিউশনের মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করা হয়। উক্ত জরিমানার টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়। ট্রাফিক সার্জেন্ট দুলাল ও শুভ জানান, কাচঁপুর হাইওয়ে থানা আফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান দূরদর্শিতা যথাযথ পদক্ষেপের কারনে মহাসড়কে ফুটপাত যানজট এবং অবৈধ পাকিং কমে গেছে। যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা ও মহাসড়ক সু-শৃঙ্খল রাখতে কাচঁপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন । গত ৬ মাসে অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ অস্ত্রসহ একাধিক ডাকাত, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। ছিনতাইকৃত পশু ও উদ্ধার করেছেন। মহাসড়কে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করে নিজ খরচে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করছেন ও নিজ অর্থায়নে পরিবহনের ড্রাইভারদের ইফতারের ব্যবস্থা করছেন। হাইওয়ের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত অবৈধ দখলদার মুক্ত করেছেন। ৯০ কিলোমিটার হাইওয়েতে চলাচলের জন্য সার্বিক পুলিশী টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে হাইওয়েকে উপযোগী করে তুলেছেন। এদিকে দেশব্যাপাী চলমান লকডাউনের সময় ওসি মনিরুজ্জামান কাঁচপুর হাইওয়ে থানার চেকপোষ্ট গুলোতে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে চেকপোষ্ট ও মাস্ক এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন। পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর পেশাদারিত্ব দিয়ে অপরাধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন।
এদিকে হাইওয়ের থানা ওসি মনিরুজ্জান বলেন, কঠোর ভূমিকা ও দায়িত্ব পালনে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট ৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক অনেকটা নিরাপদ । যার ফলে যানজটের পরিমানও কমে যাচ্ছে। কেউ যদি অবৈধভাবে পার্কিং করে তাহলে তাকে আইনগত ভাবে জরিমানা করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা অবসান করতে কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ সবসময় দৃষ্টি রয়েছে। কোন পরিবহনকে আইন অমান্য করলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি মাসে মামলা ও টাকা আদায় সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।