বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home » Slider »

হেফাজত নেতা মামুনুলকে নিয়ে এসপির ‘বিবৃতি’ ভুয়া

সোমবার, ০৫ এপ্রিল ২০২১ | ৭:০৩ অপরাহ্ণ

হেফাজত নেতা মামুনুলকে নিয়ে এসপির ‘বিবৃতি’ ভুয়া

হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে ছড়ানো বিবৃতি সঠিক নয়। তিনি এ ধরনের কোনও বিবৃতি দেননি জানিয়ে এমন পোস্ট দেখে বিভ্রান্ত না হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ‘জেলা পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ’ নামে ফেসবুক পেজে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ ওই সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘দৃষ্টি আকর্ষণ’। ‘সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জের বরাত দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা জনাব মামুনুল হককে নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ এ ধরনের কোন বিবৃতি প্রদান করেননি। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো’। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। সাধারণ মানুষ যেন এরকম বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই না করে কোনও রকম মন্তব্য বা শেয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছি।’ এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের ফেসবুকে পেজে বিবৃতি সোমবার দুপরেই পোস্ট করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। প্রসঙ্গত, রোববার রাত থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নাম দিয়ে যে মিথ্যা বিবৃতিটি ছড়ানো হয়। মিথ্যা ওই বিবৃতিতে লেখা ছিল, ‘৭১ টিভি একটা ফোনালাপ প্রকাশ করেছে সেটা শুনে আমি কিছু মিলাতে পারছি না! বুঝলাম না, মামুনুল হক সাহেবের ঘটনার লাইভটি আমি সেই শুরু থেকেই দেখছিলাম, হাজার হাজার হেফাজত সদস্যরা উনাকে মিছিল করে নিয়ে গেল। উনি ঈদগাহ মাঠে বক্তব্য রাখলেন পুরোটা সময় লোকজনের শব্দে উত্তাল। এর মধ্যে স্ত্রীর সাথে উনি কথা বললেন আর সেই ফোনালাপে কোন বাহ্যিক শব্দ শোনা গেল না! এবং এতো তাড়াতাড়ি ৭১ টিভির কাছে চলে গেল, আজব আমি তো কিছু বুঝলাম না…আরে কেমনে কী…? আটকও নয়! গ্রেফতারও নয়! আমরা উনাকে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছি!

দ্বিতীয় কথা হল ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের বিচার চেয়ে অনেকেই বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করে। প্রথম স্ত্রী, ২য় স্ত্রী বা দুই স্ত্রীর পরিবারের কেউ কোন জায়গায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলো না। অথচ বিচার করার জন্য অনেকেই উঠে পড়ে লেগেছে। দেশের এতো উন্নয়ন কবে হইলো? দুই স্ত্রীর যদি কোন আপত্তি না থাকে তাইলে, আপনাদের এতো মাথা ব্যথা কেন?’ এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানিয়েছেন তিনি কোথাও এ ধরনের কোনও পোস্ট দেননি। অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিবৃতি প্রদানের মধ্য দিয়ে এ বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেছেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন