মৌসুমের ষষ্ঠ তাপপ্রবাহ চলছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ফলে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। যা চলতি সপ্তাহেই সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে পূর্ণ শক্তি নিয়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। দেশটির আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড় গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এক সঙ্গে দু’টি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে, একটি বঙ্গোপসাগরে, আরেকটি আরব সাগরে । আগামী ২৩ থেকে ২৫ শে মে-র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়। এই সুপার সাইক্লোনের নাম ‘যশ’।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবর সাগরে ইতোমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী পাঁচদিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২৩ থেকে ২৫ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে। যা পরে দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ উপকূলে প্রবেশ করতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়টির অবস্থা বোঝা যাবে। বর্তমানে এর গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুস, তাপপ্রবাহ চলতি সপ্তাহ ধরেই থাকবে। এ তাপপ্রবাহ ২৫ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বিভিন্ন অঞ্চলে। এ সময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।