রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদানী নগর মাদ্রাসা রোড কয়েল ফ্যাক্টরির আতঙ্কে দিন যাপন করছে এলাকাবাসী

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

মাদানী নগর মাদ্রাসা রোড কয়েল ফ্যাক্টরির আতঙ্কে দিন যাপন করছে এলাকাবাসী

মোঃ সারোয়ার মৃধা বিশেষ প্রতিনিধি ঃঃ সিদ্ধিরগঞ্জে মাদানী নগর মাদ্রাসা রোড ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা টি ৩নং ওয়াট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন গ্যাস সংকটের মূল কারণ অরুণের অবৈধ কয়েল কারখানা বসিয়ে গ্যাস-সংকটের মুখে গ্যাস বাণিজ্য বন্ধ কি হবে না বারবার অভিযান করেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ গ্যাস বাণিজ্য কোথায় তার খুঁটির জোর এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপ কামনা সারাদিন গ্যাস থাকে না আমরা রান্না করতে পারছিনা নাখেয়ে কর্ম এস্থলে যেতে হচ্ছে এর চেয়ে সমস্যা আর কি হতে পারে তিতাস গ্যাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলছে অরুনের অবৈধ গ্যাস বাণিজ্য ও ব্যবসা কোথায় তার খুটির জোর মালিক অরুণ একসময় সে হাতে করে কয়েল বিক্রয় করতো অরুন এখন নিজেও জানেনা সে কত কোটি টাকার মালিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা কয়েল বিক্রি তা অরুণ এখন সে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ করতো কোটি টাকার মালিক সে নিজেই অজানা ফেরি করে কয়েল বিক্রি করেই চলতো যার জীবিকা সে কিভাবে তিন চারটা বাড়ির মালিক তাহলে? সেকি আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেলো ঘষা দিলেই গ্যাস বাইর হয় তা দিয়ে কোয়েল পুরে বিক্রয় করে আছে এ ধরনের নাটক দেখার কেহ নেই কারণ গ্যাসের কর্মকর্তারা অরুনের পকেটে কি করবে সাধারণ জনগণ কারণ রক্ষক যদি ভক্ষক হয় অবৈধ গ্যাস দিয়ে কয়েল পুড়িয়ে একপর্যায়ে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এ লাকার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক অরুণ সিদ্ধিরগঞ্জ ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের হস্তক্ষেপ কামনায় এলাকাবাসীর কয়েল তৈরির এসব কারখানায় অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে গ্যাসসংযোগ। ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এসব কারখানার সামনে নেই কোনো সাইনবোর্ড।
প্রতিনিয়তই ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। অনুমতি না থাকায় কারখানা করা হয়েছে অলিগলির ভেতরে। ফলে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে পারে না ঘটনাস্থলে। যে কারণে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়ে।সাইনবোর্ড বিহীন এই কয়েল কারখানা টি এলাকাবাসীর অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাড়িয়ে আছে। প্রশাসনের অভিযানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এদিকে মাদ্রাসা রোড মাদানী নগর এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা কয়েল তৈরির কারখানায় টি বারবার অভিযান করেও লাভ হচ্ছে না কারণ অরুণ একজন পীরের হাত ধরা পীর কে মাসে মাসে খুশি রাখলেই চলবে অরুনের ব্যবসা পীর যেভাবে বলবে অরুন সেভাবেই চলবে কয়েল ফ্যাক্টরি পীর শিষ্যর খেলায় সাধারণ জনগণন অতিষ্ট এলাকাবাসী এ ধরনের খেলা আর দেখতে চায় না খেলা বন্ধের জন্য চেষ্টা চলছে এলাকাবাসীর আকুল আবেদন সাংবাদিক সমাজ চাইলে এ ধরনের অবৈধ কোয়েল ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে পারবে এটা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিশ্বাস এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অরুনকে ফোন দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না
স্থানীয়রা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানীনগর মাদ্রাসা রোড এলাকায় অবৈধ চোরাই গ্যাস সংযোগ দিয়ে ফ্যাক্টরিটি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল ভিতর থেকে গেট তালা লাগিয়ে চোরাই গ্যাস দিয়ে কয়েল পড়ানো হচ্ছে
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে মশা দূর করার কয়েল বানানোর কারখানা। প্রতিটি কারখানায় একাধিক নামে কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব কয়েল তৈরির কারখানা
স্থানীয়রা জানান, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, আর্থিক জরিমানা ও কারখানা সিলকালার করে তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার পরে মালিক আবার গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করেন তিতাস আর কয়েল কারখানার মালিকদের এই রহস্যজনক অভিযান খেলা বন্ধ কি হবে না?

স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, অবাধে কয়েল ফ্যাক্টরী গড়ে উঠার কারণে বিষাক্ত ক্যামিকেল, দুর্গন্ধ ও ময়লা পানির কারনে অনেকের হাপানি, শ্বাসকষ্টসহ নানা বায়ুবাহীত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, ফলে আমাদের বসবাস করতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এসব কারখানার তৈরি অবৈধ কয়েলের গুনগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা নেই। তাছাড়া বিভিন্ন নামিদামি কারখানার কয়েল অবিকল নকল করে বাজারজাত করছে এই কারখানা মালিক । বিভিন্ন মোড়ক তৈরি করে কারখানার মালিক তাদের নিজেদের তৈরি কয়েল প্যাকেট করে গোপনে বাজার জাত করছে। অনুমোতি হিন কয়েলের চেয়ে দাম অনেক কম হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা অধিক মুনাফার লোভে নকল কয়েল বিক্রি করছে ক্রেতাদের কাছে। ক্রেতারা অনুমোদিত কারখানার তৈরি কয়েল মনে করে বেশী দামে অভিকল নকল কয়েল কিনে প্রতারিত হচ্ছে। এসব নকল কয়েল মানব দেহের জন্য মারত্নক ক্ষতিকর। মালিক অরুণ নকল কয়েল তৈরি ও বাজারজাত করে এক দিকে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে অর্থিক ফায়দা লুটছে অপর দিকে জীবনকেও ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মূখে। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা অবৈধ অনুমোদনহীন কারখানায় বিভিন্ন সময় আগুন লাগার ঘটনাও ঘটছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল দৈনিক নারায়ণগঞ্জের ডাক চোখ রাখুন আগামী পড়বে ?




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন