সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ সোমবার | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বামী-স্ত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী না’গঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার কারাগারে

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

স্বামী-স্ত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী না’গঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার কারাগারে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাচরাবাগ এলাকার ব্যাবসায়ী বকুল আহমেদ (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী আরিফা বেগমকে সংঘবদ্ধ বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও থেকে অপহরণ করে ১ মাস আটকে রেখে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবীর মামলায় পলাতক আসামী দেলোয়ার হোসেন আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থাকার পর গত বুধবার নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী (১নং) আদালতে দেলোয়ার হোসেন আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার অপহৃত বকুলের মা খোরশেদা বেগম (৬৫) বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ৬ নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। সোনারগাঁও থানার মামলা নং-১১। এ মামলায় দেলোয়ার ৪ নম্বর আসামী।
আসামী দেলোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ও শিমরাইল শাখার সভাপতি। এছাড়াও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের এক প্রভাবশালী মামার ভাগিনা বলেও সুপরিচিত।
মামলা দায়েরের পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়া এলাকাস্থ শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর মালিকানাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণের সময় ব্যবহৃত খয়েরি রংয়ের প্রাইভেট কারটি জব্ধ করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মাহমুদুর রহমান রক্সি (৩২), সবুজ (২৫) ও সাইদুল ইসলাম (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন দুপুরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ উক্ত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত শুনানী শেষে আসামীদেরকে একদিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। মামলার অপর দুই আসামী শাহজাহান (৪৪) ও মানিক (৪৫) পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামী দেলোয়ার হোসেনের জমি সংক্রান্ত প্রাপ্ত টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় মামলার এজাহার নামীয় আসামীরাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও থানাধীন শুকরদী এলাকাস্থ পাঁচ পীরের দরগাহ মসজিদের সামনে থেকে মো: বকুল আহমেদকে খয়েরি রংয়ের একটি প্রাইভেটকার যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে দেলোয়ার হোসেন অপহৃতের স্ত্রী আরিফা বেগমকে ফোন করে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ আগষ্ট বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় অপহৃতের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকাস্থ রহমান মার্কেটের পাশে মদিনা সিমেন্টের দোকানে আসামী দেলোয়ার হোসেনের সাথে দেখা করতে আসে। এসময় দেলোয়ার হোসেনের গোডাউনে বাদিনীর পুত্রবধু আরিফা বেগম তাঁর স্বামী বকুল আহমেদকে দেখে ডাক চিৎকার করে। এতে দেলোয়ার হোসেন সহ অপরাপর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে একটি দলিল ও একাধিক ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। বাদিনীর ছেলের স্ত্রী আরিফা বেগমের গ্রামীন ব্যাংকের একাউন্ট হইতে মুক্তিপন বাবদ নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩ লাখ টাকার চেক সহ একাধিক ব্লাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর রাখে এবং দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তাদেরকে আটকিয়ে রাখে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোর সোয়া ৪টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে আসামী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলা হইতে অপহৃতদের পুলিশ উদ্ধার করে।
আরো জানা যায়, অপহরণকারী এই আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী দলের সক্রিয় সদস্য। তাহারা অপহরণ সহ চাঁদাবাজী, ছিনতাই এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করিয়া জিবিকা নির্বাহ করে থাকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমানে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে।
স্বামী-স্ত্রীকে অপহরণ করে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার কারাগারে
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সোনাচরাবাগ এলাকার ব্যাবসায়ী বকুল আহমেদ (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী আরিফা বেগমকে সংঘবদ্ধ বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও থেকে অপহরণ করে ১ মাস আটকে রেখে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবীর মামলায় পলাতক আসামী দেলোয়ার হোসেন আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক থাকার পর গত বুধবার নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী (১নং) আদালতে দেলোয়ার হোসেন আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার অপহৃত বকুলের মা খোরশেদা বেগম (৬৫) বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ৬ নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। সোনারগাঁও থানার মামলা নং-১১। এ মামলায় দেলোয়ার ৪ নম্বর আসামী।
আসামী দেলোয়ার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক ও শিমরাইল শাখার সভাপতি। এছাড়াও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের এক প্রভাবশালী মামার ভাগিনা বলেও সুপরিচিত।
মামলা দায়েরের পরের দিন ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়া এলাকাস্থ শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দেলুর মালিকানাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় অপহরণের সময় ব্যবহৃত খয়েরি রংয়ের প্রাইভেট কারটি জব্ধ করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মাহমুদুর রহমান রক্সি (৩২), সবুজ (২৫) ও সাইদুল ইসলাম (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন দুপুরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ উক্ত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত শুনানী শেষে আসামীদেরকে একদিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। মামলার অপর দুই আসামী শাহজাহান (৪৪) ও মানিক (৪৫) পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামী দেলোয়ার হোসেনের জমি সংক্রান্ত প্রাপ্ত টাকা দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় মামলার এজাহার নামীয় আসামীরাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে সোনারগাঁও থানাধীন শুকরদী এলাকাস্থ পাঁচ পীরের দরগাহ মসজিদের সামনে থেকে মো: বকুল আহমেদকে খয়েরি রংয়ের একটি প্রাইভেটকার যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে দেলোয়ার হোসেন অপহৃতের স্ত্রী আরিফা বেগমকে ফোন করে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ আগষ্ট বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টায় অপহৃতের স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকাস্থ রহমান মার্কেটের পাশে মদিনা সিমেন্টের দোকানে আসামী দেলোয়ার হোসেনের সাথে দেখা করতে আসে। এসময় দেলোয়ার হোসেনের গোডাউনে বাদিনীর পুত্রবধু আরিফা বেগম তাঁর স্বামী বকুল আহমেদকে দেখে ডাক চিৎকার করে। এতে দেলোয়ার হোসেন সহ অপরাপর আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে একটি দলিল ও একাধিক ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। বাদিনীর ছেলের স্ত্রী আরিফা বেগমের গ্রামীন ব্যাংকের একাউন্ট হইতে মুক্তিপন বাবদ নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩ লাখ টাকার চেক সহ একাধিক ব্লাঙ্ক চেকে স্বাক্ষর রাখে এবং দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তাদেরকে আটকিয়ে রাখে। গত ৭ সেপ্টেম্বর ভোর সোয়া ৪টায় দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে আসামী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলা হইতে অপহৃতদের পুলিশ উদ্ধার করে।
আরো জানা যায়, অপহরণকারী এই আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী দলের সক্রিয় সদস্য। তাহারা অপহরণ সহ চাঁদাবাজী, ছিনতাই এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করিয়া জিবিকা নির্বাহ করে থাকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, বর্তমানে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন