রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এক সময়ের আলোচিত সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামী, হাসুর দখলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ

শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ | ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

এক সময়ের আলোচিত সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামী,  হাসুর দখলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ

বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে এক সময়ের আলোচিত সাত খুনের মামলার অন্যতম আসামী বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নেতা হাসমত আলী ওরফে হাসুর দখলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারায়ণগঞ্জ শাখা।
খবর নিয়ে জানাযায়, জোট সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ কার্য্যালয়ে হাসমত আলী হাসু ও তার নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন ঠিকাদারের হাতেই ছিলো সবকিছু। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনিই এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই কার্য্যালয়টি। টেন্ডার, সেতু ও কালভার্ট মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, ভাস্কর্য, স্মৃতিস্মারকসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের আন্ডারে যেসকল কাজ রয়েছে সবকিছুই হাসমত আলী হাসুর দখলে থাকে। এসব কাজের টেন্ডারও তিনিই পান।
কয়েকজন ঠিকাদার এই প্রতিবেদককে বলেন, হাসমত আলী হাসুর নিয়ন্ত্রণে পুরো অফিস। অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে বড়কর্তা সবাই হাসুর কথায় উঠেবসে। হাসুর কথা ছাড়া কিছুই হয়না এখানে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সবসময় বড় কর্তাদের অফিসে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় হাসমত আলী হাসু ও তার সহযোগীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, দুই যুগ ধরে হাসমত আলী হাসু একক নিয়ন্ত্রণ করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নারায়ণগঞ্জ শাখার অফিসটি। তার ইশারা ছাড়া ওখানকার একটা ফাইলও লড়ে না। তিনি যখন যা বলে তাই হয় কার্য্যালয়টিতে। হাসুর সাথে বিরুধীতা যে করবে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন, হামলা আর মামলা। আমরা সাধারণ ঠিকাদাররা অসহায় তার কাছে।
স্থানীয়রা জানান, হাসমত আলী হাসুর প্রচুর প্রভাব রয়েছে। সাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হয়েও তিনি খালাশ পেয়েছেন মোটা অংকের টাকার জোড়ে। ওই আলোচিত হত্যা মামলার আসামী হয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। রফাদফা করে এলাকায় এসে আবারো দাপুটের সাথেই চলছেন। তাদের প্রচুর টাকা তাদের কেউই কিছুই করতে পারবে না।
মিজমিজি এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, হাসমত আলী হাসুর একসময় কিছুই ছিলনা। ঠিকাদারি ব্যবসার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মালিক বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার। তার রয়েছে একাধিক বাড়ি, গাড়ি, জমাজমিসহ অনেক সম্পত্তি। তার এখন পিছনে তাকানোর সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে হাসমত আলী হাসুর মোঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য সড়ক ও জনপথ নারায়ণগঞ্জ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাখাওয়াত শামীমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি মিটিং ব্যস্ত থাকার অযুহাত দেখিয়ে পরে কথা হবে বলে ফোনটি রেখে দেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন