শুক্রবার, ৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাণিজ্য সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ওসির নির্দেশে দোকান বন্ধ মালিক পলাতক

বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪ | ৫:১২ অপরাহ্ণ

সোনারগাঁয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাণিজ্য সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ওসির নির্দেশে দোকান বন্ধ মালিক পলাতক

সোনারগাঁ সংবাদদাতা ফাহাদ

সোনারগাঁ থানায় পুলিশ ক্লিয়ার এর জন্য গেটের সামনে থাকা মা কম্পিউটারস অনলাইন সার্ভিস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার এর মালিক দুলাল মিয়ার বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বাইরে টাকা পয়সা বেশি রাখার কারণে তার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন থানার ওসি মোঃ আব্দুল বারী।

জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ৩০শে সেপ্টেম্বর সোনারগাঁ থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এক ব্যক্তি আসলে থানার গেটের সামনে অবস্থিত মা কম্পিউটারস অনলাইন সার্ভিস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার দুলাল মিয়াার দোকানে অনলাইনে কাগজপত্র ঠিক করার জন্য তার সাথে কথা বললে, তিনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ১২০০০/( ১২ হাজার) টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এই তথ্য মোবাইল ফোনে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ আব্দুল বারীকে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা ও তার দোকান বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেন। সেই থেকে গত দুইদিন যাব তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন এবং বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বিভিন্ন উন্নতমানের সাংবাদিকদের দিয়ে ওসি বরাবর মোবাইল ফোনে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি মোঃ আব্দুল বারীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে সোনারগাঁয়ে অসংখ্য সাংবাদিক আমাকে ফোন করে জ্বালাতন করছেন এরা কোন ধরনের সাংবাদিক এদেরকে খতিয়ে দেখুন। আপনারা এদের তালিকা দিন ডিসি বরাবরে । যেখানে আমাদের জেলা পুলিশ সুপার সম্পূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন যে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কোন পুলিশ কর্মকর্তা যেন সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা না নেওয়া হয় অথচ সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানায় আরো কয়েকবার জেল হাজতে যেতে হয়েছে তাকে। তবুও সে সংশোধিত হয়নি। কিছুদিন আগে আরো এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি সামান্য সমস্যা দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা কন্ট্রাক্ট করেন। বিষয়টি জানাজানির পর টাকা ফেরত দিয়ে দেন। এ ধরনের ব্যক্তিদের কঠোর আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। প্রবাসীর কাছ থেকে এই ধরনের অন্যায় মূলক টাকা হাতিয়ে নেওয়াটা বিশাল অপরাধ।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন