বৃহস্পতিবার, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ বৃহস্পতিবার | ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খানাখন্দে ভরা সোনারগাঁ থানা রোড সীমাহীন দুর্ভোগ

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ৪:৩১ অপরাহ্ণ

খানাখন্দে ভরা সোনারগাঁ থানা রোড সীমাহীন দুর্ভোগ

ফাহাদুল ইসলাম : ঐতিহ্যবাহী শেরশাহ শুরি নির্মিত বিশ্ব বিখ্যাত ‘গ্রান্ড ট্রাঙ্ক’ রোডটি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে শুরু হয়ে পশ্চিশবঙ্গের হাওড়া হয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ারের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের কাবুল পর্যন্ত ব্যাপ্তি। এ রোডের মোট দৈর্ঘ্য ২৫০০ কি.মি. এবং ১৮৩৩ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা এটির সংস্কার সাধন করেন।এটি সড়ক-ই-আজম নামে অপরিচিত।

শুর শাসক শের শাহ তার পাঁচ বছরের রাজত্বের ইতিহাসে জনহিতকর কার্যাবলী অনেক করে গেছেন। তিনি বহু রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড। তিনি যে সমস্ত শহর নির্মাণ করেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সুন্দর ও প্রশস্ত এ গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড।

কিন্তু কালের পরিবর্তে ধ্বংস হয়ে যায় সেই ঐতিহ্যবাহী এশিয়া মহাসড়ক গ্রান্ড ট্রাঙ্ক’ ।

মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে বৈদ্যের বাজার মেঘনা ঘাট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ।
সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। বেশির ভাগ স্থানে পিচঢালাই নেই। একটু বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে পানি জমে যায়। প্রতিনিয়তই উল্টে পড়ছে যানবাহন। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া, কাদাপানি ছিটে পাশের দোকানপাট ও পথচারীদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। এ দুরবস্থা সোনারগাঁ পৌর শহরের দৈলেরবাগ এলাকার প্রধান সড়কের।

দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন এ সড়ক সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এলাকার লোকজন বলেন, সড়ক সংস্কার না করায় দিন দিন এসব খানাখন্দ গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে বড় হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কজুড়ে পানি থইথই করছে। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃষ্টির পানি জমায় গাড়ি চলছে ধীরে। লোকজন যে আশপাশ দিয়ে হাঁটবেন, তারও কোনো উপায় নেই।

একজন কলেজ ছাত্রী বলেন, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে থেকে সব সময়ই যানজট লেগে থাকে। অনেক সময় গর্তে জমে থাকা কাদাপানি ছিটে পোশাক নষ্ট হয়। অবস্থা এত খারাপ যে হেঁটে চলাই কষ্টকর। এই গর্তগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটি অনেক প্রাচীন রোড সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এটি ঢাকা মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ওই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। গত ১৫ বছর ধরে মোগরা পাড়া চৌরাস্তা হতে বৈদ্যের বাজার পর্যন্ত সংস্কারের হাত লাগেনি।

সড়কের দুই পাশে বাসাবাড়ি, অফিস, দোকানপাট রয়েছে। সড়কের পাশে নালা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, মালবোঝাই ট্রাক, পিকআপ, লরিসহ অন্যান্য যানবাহন মাঝেমধ্যে এসব গর্তে আটকা পড়ে। হেঁটে চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ওই এলাকার কয়েকজন বলেন, আগে রাস্তাটি ভাঙা থাকলেও অতটা মন্দ ছিল না। কিন্তু বর্ষা শুরুর পর থেকেই গর্তগুলো ভেঙে এখন কোথাও কোথাও ছোট পুকুরের মতো হয়ে যাচ্ছে।

পৌরসভার এক ব্যবসায়ী বলেন, সড়কটি নিয়ে এখন মানুষ রীতিমতো দুঃখে আছে। গত ১৫ বছর ধরে এমন অবস্থা ছিল। পরে কিছু ইট-বালু ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ সংস্কার করছে না। তাঁরা দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি জানান।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন