সোনারগাঁ সংবাদদাতা ফাহাদ : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গত ২৫শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সনমান্দি ইউনিয়নের খান বাড়ি আয়নাল শাহ নামে পরিচিত মাজারটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা এতে আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সাথে মাজার ভক্তদের সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সোনারগাঁওয়ে সনমান্দিতে মাজারটি প্রায় সাতশত বছর ধরে এখানেই সুরক্ষিত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ওই এলাকায় একটি দল একটি গোষ্ঠী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তৈরির লক্ষ্যে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
সকল মন্তব্য ও অভিযোগ আলেম-ওলামাদের উপর প্রত্যাখ্যান করে মাজারটি পরিদর্শনের জন্য পাশেই অবস্থিত খান বাড়ি জামে মসজিদ কমিটি ও উলামায়ে কেরাম পরিদর্শনের জন্য গত শনিবার সকালে উপস্থিত হন।
জানা যায়, গত ২৫ আগষ্ট আয়নাল শাহ মাজারটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার পর মাজারের ভক্তবৃন্দ ও মাজার পূজারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পাশেই অবস্থিত খান বাড়ির হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা সহ খান বাড়ি জামে মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। দলে দলে ভক্তবৃন্দ ও মাজার পূজারীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হতে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী ভন্ড মজিবর ভান্ডারীর নেতৃত্বে হাজার হাজার লোক জড়ো করে মসজিদ মাদ্রাসা ভাঙ্গার জন্য পরিকল্পনা করে। পরে বিষয়টি ধর্ম প্রাণ মুসল্লিগন ও লামায়ে কেরাম অবগত হলে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করে।
এ বিষয়ে পরিদর্শনে আসা মাওলানা মহিউদ্দিন খান বলেন, শত বছরের অবস্থিত মাজার টি সুরক্ষিত আছে কোন ওলামা একরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ এখানে যদি আঘাত আনতে চাইতো বহুত আগেই পারতো, এখন দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে এমন নেককারজনক কাজ আলেম-ওলামা ও ধর্ম প্রাণ মুসল্লিগণ কখনোই করতে পারেনা।
এ কাজটি মাজার ভক্তদের মধ্যে কেউ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সহ আলেম-ওলামাদের সাথে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির লগ্নে এমন ন্যাক্কার জন্য কাজ করছে। এ ব্যাপারে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমরা শুনেছি এই মাজারে চলছে জমজমাট নেশার আসর। মেলাকে কেন্দ্র করে মাজারের চারদিকে প্রায় শতাধিক নেশার আসর বসিয়ে প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করছে একশ্রেণির মাদকসেবী ও মাজারের ভক্তরা।
শুধু তাই নয়; চলে অসামাজিক কার্যকলাপও। এলাকাবাসী এই মাদক সেবন কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অসামাজিক কার্যক্রমে মাজারে গত কয়েকদিন আগে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় মুরুব্বিরা। মাজার ভক্তরা বলেন এই সময় গাঁজা সেবন না করলে তাদের বাবার প্রতি কোনো ঝোঁক আসে না। তাই আসর বসিয়ে তারা কয়েকজন গাঁজা সেবন করেন।
পরিদর্শন শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগন ও লামায়ে কেরাম বলেন, কে বা কারা এই মাজার ভেঙ্গেছে তা এলাকাবাসী জানে তাই নতুন করে এই মাজার নির্মিত হবে কি হবে না সেটা এদেশের আইন ও ধর্মীয়ভাবে মাজার পূজা মাজারের সেজদা দেওয়া মাজার নির্মাণ কি বলে সেটা শরীয়ত সম্মত কি না, পরামর্শ সাপেক্ষে এলাকাবাসীদের কে নিয়ে জানানো হবে। কোনভাবেই মাজারের নামে ভন্ডামি, অসামাজিক কার্যক্রম , মাদক ব্যবসা, অর্থ বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না, যে কোন মূল্যেই তা প্রতিহত করা হবে।