ফাহাদুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় হয়রানি মূলক মামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ জনগণ ও সাংবাদিকদগন, ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিএনপির নেতারা ১৭ বছরের খুব ঝারছেন সাধারন জনগণ ও সাংবাদিকদের উপর।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা সোনারগাঁওয়ে বিএনপির সমর্থিত লোকজনেরা সীমাহীন তাণ্ডব চালায়। বাড়ি ঘর ভাংচুর লুটপাট হামলা সহ নানা রকম সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপির সমর্থিত লোকজনেরা। ফলে সারা সোনারগাঁয়ে বিএনপির লোকজনের আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। যে যেভাবে পারছে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ও সাধারণ জনগণের সম্পদ দখল করে নিয়েছে। শুরু হয়েছে সম্পদ দখল নিয়ে বিএনপির দুইপন্থীর সংঘর্ষ ও মামলা পাল্টা মামলা। আর তাদের মামলার হামলার বলি হচ্ছেন সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকসহ নিরীহ জনগণ।
তারই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিনে সোনারগাঁয়ে মামলার হরিলুট লেগেছে। এরই মধ্যে হত্যা মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলা সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা হয়। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র হাইব্রিড নেতারা দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপি’র বড় পদে থাকা দাবিদার কিছু হাইব্রিড নেতারা থানায় বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সোনারগাঁ উপজেলার নিরীহ জনগণ, সাংবাদিকদের কে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এইসব মামলায় জাতীয় দৈনিক বাংলা একাত্তর এর সোনারগাঁ প্রতিনিধি ও সোনারগাঁ জার্নালিষ্ট ক্লাবের সভাপতি শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ,দৈনিক মুক্ত খবর এর জেলা প্রতিনিধি নির্মল সাহা,দৈনিক আমাদের অর্থনীতির মাজহারুল ইসলাম রাসেল, রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সরকার অনুমোদিত ঢাকা প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য , দৈনিক আমার সময়ের ফাহাদুল ইসলাম’র নাম দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিক ফাহাদুল ইসলাম জানান, আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী, সৎ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে আমি বিশ্বাসী, সোনারগাঁওয়ে যেখানে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সংবাদ পরিবেশনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি, কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তা সত্ত্বেও কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে না থাকা সোনারগাঁওয়ে কথিত ও হাইব্রিড বিএনপির পরিচয় দেওয়া নেতা কর্মীরা সোনারগাঁ থানায় প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিক সহ সাধারণ জনগণকে হয়রেনামূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি আমার সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকের শহীদ আলোচনা করিয়া উক্ত হয়রানি মূলক মামলা থেকে নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।