শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শনিবার | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেওভোগ মাদ্রাসার দোকানের চুক্তিনামা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

শনিবার, ০৯ মার্চ ২০২৪ | ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দেওভোগ মাদ্রাসার দোকানের চুক্তিনামা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব

জিহাদ হোসেন:

জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলূম দেওভোগ মাদ্রাসার উন্নায়নের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার সামনে মেইন রোডের পাশে কিছু দোকানের ব্যাবস্থা করা হয় যার ভাড়া ও জামানতের টাকা সম্পুর্ন মাদ্রাসার উন্নয়ন মুলক কাজে ব্যায় করার কথা উল্লেখ করেন মাদ্রাসা কমিটি।

২০১০ সালে দোকান বুঝিয়া পাওয়ার উদ্দেশ্যে কর্নার মুখি দোকানের জন্য ৪লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ও মাঝের দোকানের জন্য ৪লক্ষ্য টাকা দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে ১হাজার টাকা করে প্রতি মাসে ভাড়া ধার্য্য করা হলো এবং প্রতি বছরে ১০০ টাকা করে মাস প্রতি ভাড়া বাড়ানো হবে। এইটাকা গুলো সম্পুর্ন মাদ্রাসার ভবন নির্মানে ব্যায় করা হবে বলে দোকান গুলোর চুক্তিনামা চালু হয়। তখনকার চুক্তি ছিলো ৩বছরের এবং প্রতি ৩বছর পর পর নতুন চুক্তিনামা নবায়ন করা হবে এবং সে সময়কালের বর্তমান বাজারদর হিসেবে ভাড়া কার্যকর করা হবে।

তবে ২০১০ সালে যে চক্তিনামা করা হইছিলো সেই চুক্তিনামা আর নবায়ন করা হয় নাই। দোকানের ভারাটিয়ারা যাদের কাছথেকে দোকান ভাড়া নেন এবংকি ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দোকানে ব্যাবসা বানিজ্য পরিচালনা করে আসেন তবে এই দীর্ঘ সময় দোকানের ব্যাবসা বানিজ্য পরিচালনা চলা কালে দোকানদাররা মালিক পক্ষের সাথে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি আলোচনার সাপেক্ষে সমযতার মাধ্যমেই এই দীর্ঘ সময় ধরে তারা দোকানে ব্যাবসা বানিজ্য পরিচালনা করে আসছেন।

বর্তমানে মাদ্রাসার নতুন কমিটি গঠনে তাদের এই দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ আসে এতে তারা জানান যে যদি দোকানের চক্তিনামাতে নতুন করে ভাড়া ও জামানত হিসেবে বাড়াতে হয় তাহলে তাদের সবাইকে বিষয়টি অবগত করে সমযতার মাধ্যমে একটি উদ্যোগ নেয়া দরকার তবে দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষ জানান যে নতুন কমিটি ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষ কারো সাথে কোন ধরনের আলোচনা ও অবগত না করে কমিটি নিজেরাই একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষের উপর একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষ।তারা জানান নতুন কমিটি নাকি তাদেরকে দোকান প্রতি নতুন করে ৭লক্ষ্য ও ৮হাজার করে প্রতি মাসের ভাড়া হিসেবে নতুন চুক্তিনামা চালু করে।
এ প্রস্তাব দেয়ার পরে দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষ জানান যে তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের এই নতুন চুক্তি তাদের পক্ষে সম্ভব না তবে যদি বাড়াতে হয় তাইলে জামানতের ১লক্ষ টাকা ও প্রতি ৩বছর পর পর ৫০০টাকা করে ভাড়া বাড়াবে বলে জানিয়েছেন। এতে নতুন কমিটি তাদের জানাবেন বলে এক দেড়মাস পার হবার পরে তারা কিছুই না জানিয়ে ৫-৩-২০২৪ তারিখ প্রতি দোকানে দোকানে নোটিস দেন যে কমিটি যে প্রোস্তাব দিয়েছেন সে বিষয়ে ৩দিনের মধ্যে কমিটিকে জানাতে অন্যথায় দোকান ছেড়ে দিতে হবে বলে তাদের নোটিস দিয়েছেন মাদ্রাসা কমিটি।
মাদ্রাসা কমিটি সরাসরি দোকানের ভাড়াটিয়াদের জানান যে দোকানের মালিক পক্ষ কোন দোকানের ভাড়া নিতে পারবেনা ভাড়াটিয়ারা সরাসরি কমিটির হাতে ভাড়া প্রধান কিরতে। এদিকে দোকানের মালিক পক্ষ দাবি করেন ২০১০ সালে মোট ১কোটি ৯লক্ষ টাকার বিনিময়ে তারা দোকানের দায়িত্ব নেন এবং তখনকার কমিটি তাদের আশ্বাস দেন যে মাদ্রাসার ভবন যতদিন থাকবে এবংকি দোকান হিসেবে যতদিন থাকবে ততদিন বর্তমান দোকানের মালিক যারা আছেন তারাই থাকবেন।
যদি মাদ্রাসার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষামূলক কাজে ব্যাবহার করা না হয়।
সেক্ষেত্রে ২০১০ সালে দেয়া একেক দোকান প্রতি মূলধন বর্তমান বাজার মূল ৩০ লক্ষের অধিক দাঁড়ায়, যদি কেহ দোকান থেকে দোকানের মালিকানা বুঝিয়া নিতে চায় তাহলে তাদের মূলধনের বর্তমান বাজার মূল্য প্রধান করিয়া দোকানের মালিকানা বুঝিয়া নিতে হবে, অন্যথায় তারা তাদের দোকানের মালিকানা কেহ কারো কাছে হস্তান্তর করিবেনা প্রয়োজন মিডিয়া প্রশাসনের উপর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের সহায়তা নিবেন বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার দোকানের ভাড়াটিয়া ও মালিক পক্ষ।
নতুন কমিটি জানান যে সাব্লেট ভাড়া হিসেবে তারা দোকান দিবেন না যদি কেউ দোকান ভাড়া নিতে চান তাহলে সরাসরি কমিটির নিকট থেকে দোকান ভাড়ার নেয়ার জন্য নোটিস দিয়েছেন।
কমিটি আরো জানান যে মাদ্রাসা হচ্ছে এতিমের হক একদল সার্থ হাছিলকারী দূসকৃতীরা তাদের সার্থ হাছিলের জন্য কোন কোন দোকান থেকে ২০লক্ষ্য আবার কোন কোন দোকান থেকে ১৫লক্ষ্য টাকার মত আদায় করে মাসিক ভাড়া ১১হাজার টাকা থেকে শুরু কর একেক দোকানের ভাড়া একেক রকম আদায় কর অথছ মাদ্রাসার ফান্ডে ২হাজার করে দেয়।
বাকি টাকা এতিমের হক নস্ট করে তাদের পকেট ভারি করে। একেকজন ৪/৫ টা করে দোকান দখল করে মাসে বড় অংকের টাকা এতিমের হক থেকে কেড়ে নিচ্ছে।
মিডিয়া ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কমিটি জানিয়েছেন যে এ অন্যায় আর কত দিন?
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সার্থবাদীরা এ অন্যায় করে আসছে ৮ বছরেও কেউ নতুন চুক্তিনামা করেনাই এবংকি নতুন করে চুক্তিনামা করার জন্য ও কেউ রাজি হন নাই।
এই অন্যায় বন্ধ করার জন্য যদি উপরস্ত পর্যায়ে যেতে হলে যাবো বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার নতুন কমিটি।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন