শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ শুক্রবার | ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করুন, নির্বাচনে অংশ নেব : গয়েশ্বর

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করুন, নির্বাচনে অংশ নেব : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই অবৈধ সরকার এবং সরকার প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে দিতে হবে। সংসদীয় আসন শুন্য না হলে সে আসনে কখনো নির্বাচন হয় না। তাছাড়া বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন আছে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে না। বর্তমান সরকারের ফরমায়েশ পালনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সামনে এ আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিয়ে গেলেন। ১৫৩ টা আসন হলে তো সরকার গঠন করাই যায়, আর নির্বাচনের প্রয়োজন হয়না। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই শেষ করে ফেললেন। পুলিশের মাঝে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলো কার চেয়ে কে বেশি ভোট দিতে পারে। ‌
১৯৭০ সালের একটা নির্বাচনে ৬৮ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছিলো। এরপর আর এতো ভোট কোথাও পড়েনি। ২০১৮ সালে ১১৭ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে, কোথাও পড়েছে ১০২ পার্সেন্ট পড়েছে। মরা মানুষ, জেতা মানুষ, বিদেশের মানুষ যে যেখানে আছে সবাই ভোট দিছে। এ ধরনের ঠাট্টা তামাশার ভোট জনগণ পছন্দ করে না, আর জনগণের সাথে ঠাট্টা তামাশা করা সাংবিধানিক অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, দেশে অনেক জ্ঞানীগুণী গণ্যমান্য লোকজন আছেন যারা নিরপেক্ষ। বিএনপি বলছে এ ধরনের নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করুন। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তখন সকল দল সে নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের আন্দোলনের দরকার নেই। আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে অংশ নেব।

তাই আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি সংবিধানে যুক্ত করুন আর যথাসময়ে রাষ্ট্রপতির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এছাড়া আপনার কাছে আর কোন পথ খোলা নেই।
রাজপথ থেকেই সরকারের বিদায় হবে জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের মন্ত্রী, এমপি কে কি বললো তা শুনতে চাই না। জবাবও দিতে চাই না। ফায়সালা হবে রাজপথে। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো।

সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আজকের এই পদযাত্রাকে যারা সাফল্যমন্ডিত করেছেন সেই নারায়ণগঞ্জবাসীকে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে।

বিএনপির আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচি যাতে হতে না পারে সেজন্য সরকার এবং সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। সকল বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে যারা আজকের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন তারাই বিএনপির সাচ্চা কর্মী‌ আগামী দিনেও সরকার পতনের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের যেকোনো কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এবং প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন রাজপথে ঝঁাপিয়ে পড়বে।

বক্তব্য পর্ব শেষে পদযাত্রা কর্মসূচি নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে শুরু করে মেট্রো মোড় ঘুরে মিশন পাড়া দিয়ে চাষাড়া চত্বরে ঘুরে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র স ালনায় অনুষ্ঠিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির।

পদযাত্রায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দল, কৃষকদল, মৎস্যজীবী দল, তঁাতীদলসহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সাধারণ জনগণও সম্পৃক্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন