সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য ও নাসিক ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হারুন অর রশিদ বলেন, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের বিগত শাসনামলে ডিবি-পুলিশ কর্তৃক হামলা, মামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়ে একাধীক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছি। এসব মামলায় পৃথক পৃথকভাবে আদালত থেকে জামিনে বের হই। জামিনে বের হয়েও আওয়ামী স্বৈরাচারী নেতাদের হামলায় নিজের বাড়ী-ঘরে থাকে পারি নাই। একাধীক বার আমার বাড়ীতে হামলা করেছে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে। ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন-যাপন করেছি।
গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকা এসে এলাকার মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে সন্ত্রাস, মাদক ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এবং সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষে কথা বলি এমন সময় একটি কুচক্রি মহলটি আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর নিজেকে স্বাধীন মনে হলেও বর্তমানে একটি কুচক্রি মহল আবারো সেই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের সময়কালের মত ষড়যন্ত্র করছে।
আমার এলাকায় মাদক, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।
ওই কুচক্রি মহলটি আমার অভিবাবক সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ভাইকে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে, হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আমার দলের শীর্ষ নেতৃবন্দের সহায়তা কামনা করছি।
বুধবার (১ জানুয়ারী ২০২৫) সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াবদা এলাকাস্থ তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎ কারে এসব কথা তুলে ধরেন বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ। এসময় সেই সকল মামলা ও নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি আবেগাপ্লাবুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এ সময় হারুন অর রশিদ আরও বলেন, আমি ১৯৮৮ সাল থেকে বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারন করে সততার সাথে রাজনীতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার রাজনীতির অভিভাবক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ভাই। তার নেতৃত্বে লড়াই-আন্দোলন সংগ্রামসহ বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছি।
আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো: মিলন শেখ বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে, হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের সাথে আমরা জড়িত নই।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের ওয়াবদা এলাকার বাসীন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হারুন আমাদের এলাকার সন্তান, বিএনপির রাজনীতি করে। আওয়ামী সরকারের আমলে অনেক হামলা-মামলার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ঠিক মত বাসায় থাকতে পাওে নাই।
এলাকার এক মুরুব্বী বলেন হারুনকে এখনো পর্যন্ত দেখিনি কোন মানুষের সাথে বেয়াদবি বা কোন খারাপ ব্যবহার করতে। আসলে ছেলেটা সহজ স্বরল মানুষ। তাকে নিয়ে কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করছে।