রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ রবিবার | ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে মারধর, লুটপাট ও হুমকি

সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের আতংক সন্ত্রাসী বাদশা-মাসুম-জুয়েলের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১০:০৯ অপরাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের আতংক সন্ত্রাসী  বাদশা-মাসুম-জুয়েলের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে মিতালি মার্কেটের আতংক সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ বাদশা, মাসুম, জুয়েল রানা ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও র‌্যাব-১১’র কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। এদিকে তিন দোকান মালিকের কাছে ৫ লাখ টাকা করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তাদের উপর অত্যাচার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অনবরত হুমকি দেয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে তিন ভুক্তভোগী আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন। তারা হলেন- মিতালি মার্কেটের ৮ নং ভবনের দোকান মালিক মোঃ ইমরান, সাহেনা সুলতানা ও জাহাঙ্গীর আলম।
ভুক্তভোগী দোকান মালিক, ব্যবসায়ী ও মামলা সূত্রে জানাযায়- মো. ইমরান, সাহেনা সুলতানা ও জাহাঙ্গীর আলম তারা দীর্ঘদিন থেকে মিতালি মার্কেটে দোকান ক্রয় করে ও মার্কেটের সদস্য পদ নিয়ে তাদের দোকান ভাড়া দিয়ে এর মালিকানা সত্ত্ব ও ভাড়া ভোগ দখল করে আসছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ বাদশা, মাসুম, জুয়েল রানা ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দোকান দখলের হুমকি দিয়ে প্রত্যেকের কাছে ৫ লাখ টাকা করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং তাদের ভাড়াটিয়াদের বলে চাঁদা না দিলে এখানে ব্যবসা করতে পারবিনা।
টাকা কে দিবে দোকান মালিক না ভাড়াটিয় জানতে চাইলে ভাড়াটিয়াদের বলে. টাকা হলেই হলো তুই দিবি না তোর মালিক দিবে এটা জানার বিষয় না। এরপর থেকে চাঁদার দাবিতে একাধিকবার তাদের ভাড়াটিয়াদের হুমকি দিয়ে মারধর করে দোকানে লুটপাট করে হুমকি দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দোকান মালিকরা এসে বাদশা, মাসুম, জুয়েল রানাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা চাঁদার দাবিতে অনড় থাকে। একথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে।
জানাগেছে, এরআগেও এসব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের কোন প্রতিকার না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দোকান মালিক ইমরান, মনজুরুল, শাহেনা সুলতানা, মনি বেগম, তোফা, নূর হোসেন, আব্দুল মান্নান, নিজাম, সুলাইমান, আবুল খায়ের, কোহিনুর বেগম, জিয়া, বাবুল, বীরেন মন্ডল, রোজিনা বেগমসহ অর্ধ্ব শতাধিক ভুক্তভোগী।
এতে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেশীয় অস্ত্র সুইচ গেয়ার, রানদা, চাকু, এসএস পাইপ দেখিয়ে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তারা দোকানদারদের বলে এখন থেকে তারা ভাড়া নিবে।
ভুক্তভোগী দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ওই চাঁদাবাজ ও তাদের সহযোগীদের কাছে আমরা নি:স্ব অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছি। প্রশাসনের শরনাপন্ন হয়ে এর কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতে বাধ্য হয়ে মামলা করতে হলো।
তারা আরও বলেন, ওই সব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন বলেন, কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ও অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবেনা। মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, মিতালি মার্কেটের ৮ নং ভবনে প্রায় ৪শত দোকান এর মালিক মিতালী সমিতির বরাদ্ধপত্র ক্রয় করে মিতালী মার্কেট চালু হওয়ার পর হতে ২০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন