সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ড এলাকার এক সময়ের লজিং মাস্টার বর্তমান ভেন্ডার শাহ আলম ওরফে কাইল্লা শাহ আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ড মন্ডলপাড়া এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে লজিং মাস্টার ভেন্ডার শাহ আলম। এক সময়ে লজিং মাস্টারী করে অনেক কস্টে চলতেন পরিবার নিয়ে।
নানা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থে ভেন্ডার শাহ আলম নাসিক ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও তার বিভিন্ন দুর্নীতি ও কদমতলী এলাকা অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ উপায়ে তার কোটি কোটি টাকা অর্জন এবং বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগের তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দলনে গনঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিতর্কিত কথিত যুবলীগ নেতা ও দূর্নীতি মামলার আসামি সন্ত্রাসী মতিউর রহমান মতি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকালীন সময় দূর্নীতি মামলার আসামি সন্ত্রাসী মতিউর রহমান মতিকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের দলিল করে দিয়ে নিজেও বনে জান কোটি টাকার মালিক। এছাড়াও এই সন্ত্রাসী মতিউর রহমান মতির নাম ভাঙ্গীয়ে বিভিন্ন নিরহ মানুষকে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে কোন্ডাসা করে রাখতো।
এ অনিয়ম দূর্নীতিবাজ ভেন্ডার কাইল্লা শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা জমি রেজিস্ট্রিশনে কর ফাঁকি ও অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
দলিল লিখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার অভিযোগ থেকে জানা গেছে- ভেন্ডার কাইল্লা শাহ আলম বেপরোয়া ঘুস, দুর্নীতি-অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি শুরু করেন। অনিয়ম-দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় জায়গা জমির মালিক।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন ভেন্ডার কাইল্লা শাহ আলম। এসব কারণে দলিল জালিয়াতি সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ভেন্ডার কাইল্লা শাহ আলম। স্থানীয় হওয়ায় মতির সাথে এককত্রিত হয়ে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে দলিল জালিয়াতি, ভুয়া দলিল তৈরি করা, নকল দলিল তৈরি করে জায়গা জমি দখল করে নেওয়াই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভেন্ডার শাহ আলমের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।