সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজ সোমবার | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য থেকে রেহাই পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী

রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩ | ১০:২৩ অপরাহ্ণ

সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসি কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্য  থেকে রেহাই পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: হাসানুল ইসলাম জনির উৎকোচ বাণিজ্য থেকে রেহাই পায়নি মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্ত্রী জমিলা খাতুন।

কদমতলী কলেজ রোড এলাকার জিলানী বাড়ীর এ গ্রাহকের লাইন বিচ্ছিন্ন করে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ায় ডিপিডিসি এনওসিএস সার্কেল তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: তরিকুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন জমিলা খাতুনের ছেলে মো: শহিদুল ইসলাম।

এছাড়া ২ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করায় তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন একই প্রতিষ্ঠানের মিটার রিডিং কালেক্টর মো: আনোয়ার হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমিলা খাতুনের কাস্টমার নম্বর-৩৭৫৬৬০৫১, মিটার নম্বর-১৬২৩০৫৭, বই নম্বর-১০ ও হিসাব নম্বর-৮৬১৮০। সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির কো-অর্ডিনেটর মো: হাসানুল ইসলাম জনি ও মিটার পাঠক মো: হাসান গত ১৭ জুন বিলের কাগজ না দিয়ে বকেয়ার অজুহাতে মিটারের পেপার সিল ছিড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বকেয়া পরিশোধ করার পরও মিটারে রেডিং জমা আছে ও মিটারটি কপি মিটার এবং অবৈধ বলে হুমকি দিয়ে ৯০ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়।

আরো টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে না বলে ভয় দেখায়। গ্রাহক একজন মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যের স্ত্রী হয়েও এমন হয়রানী হলে অন্যান্য সাধারণ গ্রাহকের কি অবস্থা তাও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপর দিকে একই প্রতিষ্ঠানের মিটার রিডিং কালেক্টর মো: আনোয়ার হোসেন ১৮ জুন থানায় অভিযোগ করেন, দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় সহযোগীদের নিয়ে ১৭ জুন সন্ধ্যায় তাকে মারধর করেন হাসানুল ইসলাম জনি।

জানা গেছে, তার আগে গোদনাইল বার্মাশীল এলাকার গ্রাহক রাশিদা বেগম (যার গ্রাহক নম্বর-১৪৭৮২৪৭২, মিটার নম্বর-৮১৮৩৪০) মিটার নষ্ট দাবি করে মিটার টেম্পারিংয়ের অভিযোগ তুলে লাল নোটিশ ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেয় হাসানুল ইসলাম জনি।

এসও এলাকার স্বপন নামে এক গ্রাহককে লাল নোটিশ দিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলেও পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আবার সংযোগ দেয়। মিটার রিডারদের যোগসাজশে গ্রাহকদের উপর ভূতরে বিল চাপিয়ে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে উর্ধ্বতন কতর্ৃপক্ষ দেখবে বলে গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি হাসানুল ইসলাম জনি।

ডিপিডিসি এনওসিএস সার্কেল তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, হাসানুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




সর্বশেষ  
জনপ্রিয়  

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন