
মো: মাহমুদুল হাসান
ডেমরায় পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীকে ডেকে নিয়ে ৪ লম্পট গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মায়ের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার ওই ৪ ধর্ষককে বুধবার বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পরই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমতলা লালশাহ মাজার এলাকা থেকে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারের পর তাদের বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ডেমরার পশ্চিম বক্সনগর কবির মিয়ার কাজী ভিলা নামে বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদপুরের নগরকান্দা থানা এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়া (২০), তার বন্ধু ডেমরা থানা এলাকায় বসবাসরত কবির হোসেনের ছেলে আল আমিন হোসেন ওরফে বাবু (২০), সবুজের ছেলে মো. মিলন (২৪) ও মোস্তফা বেপারির ছেলে মো. সাজু (২৫)। এ ঘটনায় মো. নাঈম (১৯) নামে ধর্ষকদের আরেক সহযোগীসহ অজ্ঞাত আরো ১ জন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাতে গ্রেফতার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। বর্তমানে মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডেমরা থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ভিকটিম ডেমরা থানা এলাকার একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করে। ফেইসবুকের মাধ্যমে লম্পট সোহাগের সাথে মেয়েটির পরিচয়ের পরে পরবর্তীতে কথাবার্তা হয়। এ সুবাদে সোহাগ গত ১৩ জানুয়ারি বিকালে ভুক্তভোগীকে দেখা করা জন্য বলে।
ভুক্তভোগী ও বাদির বরাতে ওসি আরও বলেন, দেখা করার জন্য আসলে সোহাগ ওই তরুণীকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় এনে আইসক্রিম খাওয়ায়। ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে আমতলা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত অফিস কক্ষে নিয়ে মেয়েটিকে নিযে যায় সোহাগ। সেখানে সোহাগ ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে একাধিকবার গণধর্ষণ করে অটোরিকশাযোগে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়ে আমি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।