সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : দূর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্য, গুম, খুন এবং ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে গন হত্যার বিচার ও খুনি হাসিনার ফাসির দাবিতে আয়োজিত ছাত্র- জন-সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের দু:শ্বাসনের অবসান ঘটেছে। অত্যাচার নির্যাতন ও জুলুমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের মানুষ।
তিনি বলেন সুবিধাবাদী কোন দুস্কৃতিরা বিএনপির সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজি, লুটপাট করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কেউ গডফাদার হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এমন কাজ করবেন না যেন বোরকা পড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় মুক্তিস্বরণী এলাকায় ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে দেশব্যপী আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য, লুটপাট, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে গণহত্যার বিচার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূঁইয়ার সভাপতিতে সভায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তি সরকার নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কারণ শেখ হাসিনা সরকার স্বৈরাচার হয়ে দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। দেশবাসীর সেই গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার সময় এসেছে। সকল দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, ইমতিয়াজ আহম্মেদ, জুয়েল রানা, শাহ আলম মাস্টার, গাজী মনির, জাহাঙ্গীর হোসেন, আফজাল হোসেন, শ্যামল, সামছুদ্দিন, বাবুল প্রধান, লিয়াকত হোসেন লেকু, রাকিবুল দেওয়ান, জাকির হোসেন, মহাসিন ও ফারহান আহমেদ রুবেলসহ অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।